শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এমপি বলেছেন, ‘শিক্ষার্থীদের জীবনের লক্ষ্য স্থির করে শিক্ষার বিস্তার ঘটাতে হবে। মানহীন শিক্ষা সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য অভিশাপ। মানসম্পন্ন ও গুণগত শিক্ষা কখনো জাতির উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য পিছুটান হতে পারে না।’
শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত ‘চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিক্ষক সমাবেশে’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
শিক্ষার্থীদের সঠিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষকরাই পারেন আলোকিত মানুষ গড়তে। আলোকিত মানুষ গঠনে শিক্ষকদের ভূমিকা অপরিহার্য। শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার মাধ্যমে সুশিক্ষা অর্জন করে দেশের বিভিন্ন পর্যায়ে অবদান রাখবে।’
শিক্ষা ক্ষেত্রে সরকারের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ২০৪১ ভিশনকে বাস্তবায়ন করতে শিক্ষার্থীদের সুযোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। আওয়ামী লীগ শিক্ষাবান্ধব সরকার। শিক্ষা ক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে এবং সেগুলো বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। মেধাবী হয়ে কেউ জন্মায় না। জ্ঞানার্জনের মাধ্যমেই মেধাবী হয়ে উঠতে হয়। আর মেধার বিকাশ কর্মের মাধ্যমেই প্রকাশ করতে হয়। মানহীন ডিগ্রিধারী শিক্ষার্থীরা জাতির উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য প্রতিবন্ধক। তাই আমাদের জাতির ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে গুণগত ও মানসম্মত শিক্ষিত সমাজ গড়ে তুলতে হবে।’
শিক্ষকদের সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ছাত্রজীবনে আমি নিজেও সবসময় শিক্ষকদের সম্মান করতাম। শিক্ষকদের বলা হয় আদর্শ মানুষ গড়ার কারিগর। যেসব শিক্ষক এই শিক্ষক সমাবেশে উপস্থিত হয়েছেন, আমি সবাইকে অনুরোধ করব, আপনারা শিক্ষার্থীদের নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলবেন। মনে রাখবেন আজকের শিক্ষার্থীরা আগামী দিনের উন্নত বাংলাদেশ গড়ায় ভূমিকা রাখবে। আজকের শিক্ষার্থীরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। আশা করি আপনারা সবাই আপনাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে ও সততার সঙ্গে পালন করবেন। একজন আদর্শ ও নিষ্ঠাবান শিক্ষক সবসময় সবার কাছে প্রিয় হয়ে ওঠে।’
কুমিল্লা-৯ আসনের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী বলেন, ‘আমার নির্বাচনী আসন এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করা হয়েছে। বাকি অসমাপ্ত উন্নয়ন কর্মকাণ্ড অচিরেই বাস্তবায়ন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী আমাকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি লাকসাম-মনোহরগঞ্জসহ সারা দেশের জন্য কাজ করছি।’ এ সময় তিনি সবার কাছে দোয়া কামনা করেন।
মনোহরগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে উপজেলা পরিষদ মাঠে আয়োজিত শিক্ষক সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব (জননিরাপত্তা বিভাগ) মো. আমিনুল ইসলাম খান, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সেখ মোহাম্মদ মহসিন, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম, ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাসকিম এ খান, পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান। মনোহরগঞ্জ উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী ফেরদৌস আলম মজুমদার ও নাথেরপেটুয়া ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর আবদুর রশিদের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম কমল, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদুল্লাহ, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাস্টার সোলাইমান, নীলকান্ত সরকারি ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবু তৈয়ব মোহাম্মদ ফখরুদ্দিন, নাথেরপেটুয়া ফাজিল ডিগ্রি মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা হুজ্জাতুল ইসলাম, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি এস এম শেখ কামাল, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ফজলুর রহমান প্রমুখ।
শিক্ষক সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন লাকসাম পৌরসভার মেয়র অধ্যাপক মো. আবুল খায়ের, কুমিল্লা জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মির্জা ইফতেখার আলী, কুমিল্লা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার নাসারুল্লাহ, জেলা পরিষদের সদস্য মাস্টার আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী, মনোহরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা কুসুম, লাকসাম পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা নিলুফা ইয়াছমিন চৌধুরী, এলজিআরডি মন্ত্রীর উন্নয়ন সমন্বয়ক মো. কামাল হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সেলিম চৌধুরী, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম চৌধুরী, মনির হোসেন হেলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন ভেন্ডর, আবুল বাশার মজুমদার, আবুল কালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য শাহাদাত হোসেন, মনোহরগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী আবদুর রহমান মুহিম, লাকসাম উপজেলা প্রকৌশলী মিশুক কুমার দত্ত, জেলা পরিষদের সহকারী প্রকৌশলী এস এম হেদায়েত, উপসহকারী প্রকৌশলী শরিফুল ইসলাম, মনোহরগঞ্জ সরকারি উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ আবদুল মতিন, শাহ শরীফ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ইসহাক মিয়া, উপজেলা শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু নছর মো. সালেহ মজুমদার, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক দেওয়ান জসিম উদ্দিন, যুগ্ম-আহ্বায়ক শফিকুর রহমান, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক মো. সেলিম কাদের চৌধুরী, যুগ্ম-আহ্বায়ক বেল্লাল হোসেন, রুহুল আমিন, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কামরুজ্জামান শামীম, সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন বিপ্লব প্রমুখ।