মো: আবদুল কাদের><
প্লিজ সহকারীদের পালস বুঝার চেষ্টা করুন।একজন শিক্ষক কিভাবে তৃতীয় শ্রেনির কর্মচারী থাকেন?
যেখানে বিসিএস পরীক্ষার যোগ্যতার সমান যোগ্যতা,সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় চাওয়া হয়। সেখানে কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে ৯ম গ্রেড দেওয়ার কথা। কিন্তু সেখানে আমাদের ১৩ম গ্রেড দিয়ে তৃতীয় শ্রেনীর কর্মচারী করে রাখলো।
এদিকে সমান যোগ্যতা নিয়ে এবং একই সিলেবাস ও কারিকুলাম এ পিটিআই সংলগ্ন প্রশিক্ষন বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড অথচ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দেওয়া হচ্ছে ১৩ তম গ্রেড।শধুই ‘পরীক্ষণ’ শব্দটির জন্যই বৈষম্য।একজন শিক্ষক হিসেবে এর চেয়ে বড় বৈষম্য আর কি হতে পারে। কর্তৃপক্ষের কাছে আমার প্রশ্ন রাখলাম।
এদিকে আবার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার নিয়োগ যোগ্যতা হলো কৃষি ডিপ্লোমা এবং বেতন দেওয়া হচ্ছে ১০ম গ্রেড তথা ২য় শ্রেনি।অথচ তার চেয়েও বেশি যোগ্যতা থাকার পরেও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের তৃতীয় শ্রেনীর কর্মচারী হিসেবে রেখে ১৩ম গ্রেডে বেতন দেওয়া হচ্ছে।শিক্ষকতা পেশার চেয়েও কি একজন কৃষি অফিসারের গুরুত্ত রাষ্ট্রের কাছে বেশি?যদি বেশি না হয়ে থাকে, তাহলে কেনো শিক্ষক দের সাথে এত বৈষম্য করা হয়।
একটি বিল্ডিং এর ফাউন্ডেশনের ইঞ্জিনিয়া্রের বেতন সবচেয়ে বেশী।কেননা, তিনি যে ভিত্তি গড়ে দেন সেটার উপর নির্ভর করে বিল্ডিং এর ভবিষ্যত।ঠিক তেমনি ডাক্তার,ইঞ্জিনিয়ার,ব্যারিস্টার,ডক্টরেট তৈরির নেপথ্যে নায়ক হিসেবে ফাউন্ডেশন গড়ে দেন প্রাথমিক শিক্ষক গন।আর এই শিক্ষকদের উপযুক্ত বেতন ও মর্যাদা দিতে কেন এত কার্পন্য।
কথায় আছে ‘ঘোড়াকে জোর করে পানির কাছে নেওয়া যায় কিন্তু পানি খাওয়ানো যায় না’ ঠিক তেমনি প্রশাসনিক চাপে শিক্ষকদের ক্লাসে নেওয়া হচ্ছে কিন্তু মন উজাড় করে পাঠ দান দেওয়া হচ্ছেনা।তাই এখনি সময় মেধাবী শিক্ষকদের ধরে রাখতে চাই তাদের জন্য ভালো আর্থিক নিরাপত্তা।আর সেই জন্য শিক্ষকদের চাওয়া অনুযায়ী নূন্যতম ১০ গ্রেড দেওয়া হোক।
মো: আবদুল কাদের
সহকারী শিক্ষক,
বালুচরা সমাজ কল্যাণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
বেগমগঞ্জ, নোয়াখালী