• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:২৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
আমাদের দেশকে নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র চলছে: মো. শাহজাহান ফ্যাসিস্ট শক্তিকে প্রতিহত করতে হবে: জামায়াত নেতা ইয়াছিন আরাফাত নোবিপ্রবিতে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত পাসপোর্টে হয়রানি বন্ধ ও জনগনের সাথে সুসম্পর্ক উন্নয়নে বিদায়ী জেলা পুলিশের ডিআইও-১ এর প্রশংসনীয় উদ্যোগ! নোয়াখালীতে “দ্যা হান্ড্রেড বল ক্রিকেট টুর্নামেন্ট” এর শুভ উদ্বোধন সুধারামে আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ প্রশাসন সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে- কামরুল ইসলাম ব্যবসায়ীদের আর্তনাদ কবিরহাটে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম ( বিএমএসএফ)’র  সাধারণ সভা জেলা প্রশাসকের কাছে ৪ শত কম্বল হস্তান্তর করলো ‘আশা’ সোনাপুর পৌর বাসস্ট্যান্ডটি যেভাবে মার্কেটে পরিণত হচ্ছে

১০ম গ্রেড সহকারীদের শুধু দাবী নয় এটা তাদের নূন্যতম অধিকার

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : রবিবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৪

মো: আবদুল কাদের><

প্লিজ সহকারীদের পালস বুঝার চেষ্টা করুন।একজন শিক্ষক কিভাবে তৃতীয় শ্রেনির কর্মচারী থাকেন?
যেখানে বিসিএস পরীক্ষার যোগ্যতার সমান যোগ্যতা,সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় চাওয়া হয়। সেখানে কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে ৯ম গ্রেড দেওয়ার কথা। কিন্তু সেখানে আমাদের ১৩ম গ্রেড দিয়ে তৃতীয় শ্রেনীর কর্মচারী করে রাখলো।
এদিকে সমান যোগ্যতা নিয়ে এবং একই সিলেবাস ও কারিকুলাম এ পিটিআই সংলগ্ন প্রশিক্ষন বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড অথচ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দেওয়া হচ্ছে ১৩ তম গ্রেড।শধুই ‘পরীক্ষণ’ শব্দটির জন্যই বৈষম্য।একজন শিক্ষক হিসেবে এর চেয়ে বড় বৈষম্য আর কি হতে পারে। কর্তৃপক্ষের কাছে আমার প্রশ্ন রাখলাম।
এদিকে আবার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার নিয়োগ যোগ্যতা হলো কৃষি ডিপ্লোমা এবং বেতন দেওয়া হচ্ছে ১০ম গ্রেড তথা ২য় শ্রেনি।অথচ তার চেয়েও বেশি যোগ্যতা থাকার পরেও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের তৃতীয় শ্রেনীর কর্মচারী হিসেবে রেখে ১৩ম গ্রেডে বেতন দেওয়া হচ্ছে।শিক্ষকতা পেশার চেয়েও কি একজন কৃষি অফিসারের গুরুত্ত রাষ্ট্রের কাছে বেশি?যদি বেশি না হয়ে থাকে, তাহলে কেনো শিক্ষক দের সাথে এত বৈষম্য করা হয়।
একটি বিল্ডিং এর ফাউন্ডেশনের ইঞ্জিনিয়া্রের বেতন সবচেয়ে বেশী।কেননা, তিনি যে ভিত্তি গড়ে দেন সেটার উপর নির্ভর করে বিল্ডিং এর ভবিষ্যত।ঠিক তেমনি ডাক্তার,ইঞ্জিনিয়ার,ব্যারিস্টার,ডক্টরেট তৈরির নেপথ্যে নায়ক হিসেবে ফাউন্ডেশন গড়ে দেন প্রাথমিক শিক্ষক গন।আর এই শিক্ষকদের উপযুক্ত বেতন ও মর্যাদা দিতে কেন এত কার্পন্য।
কথায় আছে ‘ঘোড়াকে জোর করে পানির কাছে নেওয়া যায় কিন্তু পানি খাওয়ানো যায় না’ ঠিক তেমনি প্রশাসনিক চাপে শিক্ষকদের ক্লাসে নেওয়া হচ্ছে কিন্তু মন উজাড় করে পাঠ দান দেওয়া হচ্ছেনা।তাই এখনি সময় মেধাবী শিক্ষকদের ধরে রাখতে চাই তাদের জন্য ভালো আর্থিক নিরাপত্তা।আর সেই জন্য শিক্ষকদের চাওয়া অনুযায়ী নূন্যতম ১০ গ্রেড দেওয়া হোক।

মো: আবদুল কাদের
সহকারী শিক্ষক,
বালুচরা সমাজ কল্যাণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
বেগমগঞ্জ, নোয়াখালী


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ
No comments to show.