নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালীতে ভ্রাম্যমান আদালতের পৃথক অভিযানে দুই ভুয়া চিকিৎসককে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) জেলার সোনাইমুড়ী ও কবিরহাট উপজেলায় এ অভিযান দুইটি পরিচালিত হয়। আজ মঙ্গলবার দুপুরে এ অভিযান স্ব-স্ব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগের সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করেন।
দন্ডপ্রাপ্ত দুই ভুয়া চিকিৎসক হলেন সোনাইমুড়ী উপজেলার আমিশাপাড়া ইউনিয়নের আইছপাড়া এলাকার তাজুল ইসলামের ছেলে আবদুর রহমান (২৪) ও কবিরহাট উপজেলার দায়রামদি গ্রামের মো. ইব্রাহিমের ছেলে এ ফরহাদ উদ্দিন ওরফে সুমন (৩৪)। আদালতের আদেশের পর উভয় ব্যক্তির কাছ থেকে জরিমানার অর্থ আদায় করা হয় এবং তাদের ভবিষ্যতের বিষয়ে সতর্ক করা হয়।
সোনাইমুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, আবদুর রহমান নামের এক ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসির) সনদব্যাতীত আমিশাপাড়া ইউনিয়নের ঈদগাঁও বাজারে চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে নির্ধারিত ফি’র বিনিময়ে রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে আসছেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযোগ পেয়ে উপজেলার ঈদগাঁ আমিন বাজারে তিনি অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় অভিযুক্ত ভুয়া চিকিৎসক চিকিৎসা সংক্রান্ত বিএমডিসির কোন সনদ দেখাতে পারেননি। যার প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত গুহা চিকিৎসক আবদুর রহমানকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। একই সাথে তাকে ভব্যিষতের জন্য সতর্ক করা হয়।
অপরদিকে কবিরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতিমা সুলতানা বলেন, উপজেলার ভূঁইয়ারহাট বাজারে হাঁড়ভাঙার চিকিৎসক সেজে এ ফরহাদ উদ্দিন ওরফে সুমন চিকিৎসকের প্যাড ব্যবহার করে নির্ধারিত ফি’র বিনিময়ে রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিষয়টি জানার পর আজ মঙ্গলবার দুপুরে স্বাস্থ্য বিভাগের সহায়তা নিয়ে ভূঁইয়ারহাট বাজারে অবস্থিত ইব্রাহিম মেডিকেল হল অ্যান্ড হাডভাঙ্গার চিকিৎসালয়ে অভিযান চালান। অভিযানে অভিযোগের সত্যতা পান। অভিযানকালে অভিযুক্ত এ ফরহাদ উদ্দিন নিজের দোষ স্বীকার করেন। এ সময় তাৎক্ষনিক ভ্রাম্যমান আদাত বসিয়ে ২০১০ সালে মেডিকেল ও ভেন্টোল আইনে ২৯ (২) এর ধারায় ১ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়। আদেশের পর দন্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি জরিমানার অর্থ পরিশোধ করেন।
বার্তা প্রেরক
মু>০১৬৭৬-৬৯৮৬২৬,নোয়াখালী।