• মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৪৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
আমাদের দেশকে নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র চলছে: মো. শাহজাহান ফ্যাসিস্ট শক্তিকে প্রতিহত করতে হবে: জামায়াত নেতা ইয়াছিন আরাফাত নোবিপ্রবিতে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত পাসপোর্টে হয়রানি বন্ধ ও জনগনের সাথে সুসম্পর্ক উন্নয়নে বিদায়ী জেলা পুলিশের ডিআইও-১ এর প্রশংসনীয় উদ্যোগ! নোয়াখালীতে “দ্যা হান্ড্রেড বল ক্রিকেট টুর্নামেন্ট” এর শুভ উদ্বোধন সুধারামে আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ প্রশাসন সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে- কামরুল ইসলাম ব্যবসায়ীদের আর্তনাদ কবিরহাটে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম ( বিএমএসএফ)’র  সাধারণ সভা জেলা প্রশাসকের কাছে ৪ শত কম্বল হস্তান্তর করলো ‘আশা’ সোনাপুর পৌর বাসস্ট্যান্ডটি যেভাবে মার্কেটে পরিণত হচ্ছে

খেজুর রসের মিষ্টি গন্ধে মেতেছেন গাছিরা 

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : সোমবার, ২ জানুয়ারী, ২০২৩

শীতের সকাল সবুজের ডগায় শুভ্র শিশির আর কুয়াশার জড়িয়ে আছে নোয়াখালীর একমাত্র বিচিন্ন দ্বীপউপজেলা হাতিয়ার জনপদ। একটানা সুর করে গান গায় পাখি। এলোমেলো রাস্তা আর ঘনকুয়াশা মাঝেসারিবদ্ধ ভাবে দাঁড়িয়ে আছে মাইলের পর মাইল খেজুর গাছ । 

হাতিয়া দক্ষিণ অঞ্চলে খেজুরের রস সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছে নিঝুম দ্বীপে গাছিরা। রসের মোহনীয় গন্ধে ভরেগেছে চারপাশ। বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ঘুরতে আসা পর্যটকদের কাছে রয়েছে খেজুর রস ও গুড়ের কদর। কেউ গুড় কিনে নিয়ে যাচ্ছেন, কেউবা গাছের নিচে দাঁড়িয়ে তাজা রসের স্বাদ গ্রহণ করেছেন । আগুনে রস জ্বাল দিয়ে বানানো হয় বাটালি ও লালি গুড়। রস তৈরির মিষ্টি গন্ধেই মোচড় দিয়ে ওঠে ভোজনরসিক উদর।
অনেকে কাঁচা রস বাজারে বিক্রি করতে আসে হাতিয়ার বিভিন্ন বাজারে। কেউ রস দিয়ে গুড় তৈরি করেন। শীতের সকালে অনেকেই এখানে খেজুরের রস কিনতে আসেন।

শীত এগিয়ে আসছে। অযত্ন ও অবহেলায় বেড়ে উঠা খেজুর গাছের কদরও বাড়ে শীত এলেই। খেজুর গাছ সুমিষ্টরস দেয়। রস থেকে তৈরি হয় গুড় ও পাটালি। যার সাদ ও ঘ্রাণ আলাদা। পুরো শীত মৌসুমে চলে পিঠা-পুলি আর পায়েস খাওয়ার পালা।

হাতিয়া ১১টি ইউনিয়নের মধ্যে সবচেয়ে বেশি খেজুর গাছ নিঝুম দ্বীপ ও জাহাজ মারা ইউনিয়ন, উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে হাতিয়াতে প্রায় ৩০ হেষ্টর জমি রয়েছে  , এক হেষ্টর জমিতে খেজুর গাছ হয় ১০৯৯ টি, ১টি গাছেবছরে ১৬ কেজি করে এই উপজেলা করে প্রায় ৫১০ টন গুড় উৎপাদন হয় ।

নিঝুম দ্বীপের স্থানীয় গাছি খেজুরের রস সংগ্রহকারী খোকন মিয়া বলেন, আমি এবার ১০০ খেজুরের গাছ থেকে রস সংগ্রহ করছি। প্রথম দিকে রস কম সংগ্রহ হলেও শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রসের পরিমাণ বেড়েছে। খেজুরের রস সংগ্রহ করে কড়াইতে জ্বাল দিই। জ্বাল দিয়ে তারপর গুড় বানাই। প্রতিদিন ১০-১২ কেজি গুড় বিক্রি করি। প্রতি কেজি গুড়ের দাম ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা। সকালে অনেকেই খেজুরের রস খেতে আসে। প্রতি গ্লাস রস ১০ টাকা করে। কাঁচা রস এলাকার বিভিন্ন স্থানে ও হাটে-বাজারে বিক্রি করি।

স্থানীয় বাসিন্দা আসিফ মিয়া বললেন, খেজুরের রস আমার কাছে খুবই পছন্দের। খেতেও দারুণ। সব বয়সের মানুষ খেজুরের রস ও গুড় পছন্দ করে। আমার বাড়ির পাশে থাকায় সকালে ঘুম থেকে উঠেই খেজুরের রস খেতে আসি। বাড়ির জন্য কিনেও নিয়ে যাই।

খেজুর গাছ ফসলের কোনো ক্ষতি করে না। এ গাছের জন্য বাড়তি কোনো খরচ করতে হয় না। ঝোপ-জঙ্গলে কোনো যত্ন ছাড়াই বেড়ে ওঠে। শুধুমাত্র মৌসুম এলেই নিয়মিত গাছ পরিষ্কার করে রস সংগ্রহ করা হয়। রস, গুড়, পাটালি ছাড়াও খেজুর গাছের পাতা দিয়ে মাদুর তৈরি ও জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হয়।

পরিকল্পিতভাবে খেজুর গাছ বৃদ্ধি করা হলে দেশের গুড় পাটালির চাহিদা মেটানোর পর বিদেশেও রপ্তানি করা হলে অর্থ উপার্জন করার সুযোগ রয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ
No comments to show.