সারাদেশের মতো ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে নোয়াখালীতে আনন্দঘন পরিবেশে বই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলার ১২৫৩টি প্রাথমিক ও ৩১৩টি মাধ্যমিক এবং ২৭৫টি মাদরাসা শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া হয়েছে। তবে চাহিদা পরিমাণ বই না পাওয়া গেলেও ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যে সব বিষয়ের বই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দিতে পারবেন বলে আশা করছেন কর্তৃপক্ষ।
রোববার (১ জানুয়ারি) সকালে নোয়াখালী পৌর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বই উৎসবের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফেরদৌসী বেগম।
মাইজদী বালিকা বিদ্যা নিকেতনে বই উৎসবের উদ্বোধন করেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু।
দুপুরে চাটখিলের কড়িহাটি উচ্চ বিদ্যালয়ে বই বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী আলহাজ্ব মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চাটখিল উপজেলার সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী, কড়িহাটি উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মাসুদুর রহমান শিপন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ উল্যাহ পাটোয়ারি, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনির হোসেন।
এদিকে দুপুরে মোহাম্মদ আব্দুস সাত্তার উচ্চ বিদ্যালয়ে পাঠ্যপুস্তক উৎসব দিবসে বই বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন মোহাম্মদ আব্দুস সাত্তার উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি আলহাজ্ব কাজী এবিএম শাজাহান শাহীন ( এডভোকেট)।এসময় উপস্থিত ছিলেন উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকাগন এবং পরিচালনা পর্ষদের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফেরদৌসী বেগম বলেন, জেলার ১২৫৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন বইয়ের চাহিদা ছিল ১৭লাখ ১২হাজার ৫৫৭ পিস। যার বিপরীতে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আমরা ৩লাখ নতুন বই হাতে পেয়েছি, যার মধ্যে প্রাক-প্রাথমিক, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির বই রয়েছে। প্রাথমিকভাবে পাওয়া বইগুলো ‘বই উৎসব’ এর মাধ্যমে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আমাদের চাহিদা মোতাবেক সকল বই হাতে আসবে এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করা হবে।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নূর উদ্দিন মো. জাহাঙ্গীর বলেন, ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে জেলার ৩১৩টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ২৭৫টি মাদরাসায় আমাদের নতুন বইয়ের চাহিদা ছিল ৫৪ লাখ ১৭হাজার ৭৪৭পিস। যার বিপরীতে আমরা নতুন বই সরবরাহ পেয়েছি ৩২লাখ ৬৭হাজার ২৮৫পিস। বই উৎসবের মাধ্যমে পাওয়া বইগুলো উপজেলা থেকে বিদ্যালয় ভিত্তিক শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বাকিগুলো আসার পর শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।