প্রতিবেদকঃ তুচ্ছ একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে বসত ঘরে হামলা করে স্বর্ণালংকারসহ টাকা লুটের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী পরিবারের বিরুদ্ধে ।
শনিবার ১৭ ফেব্রুয়ারি বিকালে নোয়াখালী সদর উপজেলার আন্ডাচর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের মধ্য আন্ডারচর গ্রামের খায়ের খন্দকারের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
আহতদের পরিবার সূত্রে জানা যায়,খায়ের খন্দকারের প্রতিবেশী আব্দুল মালেকের ছেলে মোঃ হেলাল মিয়ার সঙ্গে শাহাব উদ্দিন মাঝির পরিবারের সঙ্গের পূর্বের একটি তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে এই হামলা চালানো হয়।হামলার ঘটনার দিন মাগরীবের নামাজের পূর্ব মুহূর্তে হেলাল মিয়া খায়ের খন্দকারের বাড়ির সামনের দোকানে বসা ছিলো। তখন হেলাল কিছু বুঝে ওঠার পূর্বেই শাহাবুদ্দিন মাঝির নেতৃত্বে তার ছেলে চাঁদ মিয়া (২৫) কালু মিয়া ( ৩০) রাকিব (২৮) অতর্কিতভাবে লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তার ওপর হামলা করে। হামলার একপর্যায়ে হেলাল দৌড়ে প্রাণ বাঁচাতে খায়ের খন্দকারের ঘরে ঢুকে দরজা আটকে দেয়। এতে হামলাকারীরা ও দৌড়ে এসে খাইয়ের খন্দকারের ঘরে ঢুকার চেষ্টা করে পরিবারের বাধার মুখে পড়লে ঘরের দরজা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে ওই পরিবারের একাধিক নারীকে পিটিয়ে আহত করে।
অভিযোগ সূত্রে আরও জানা যায়, খায়ের খন্দকারের ঘরের আলমারি, শোকেসসহ ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে হামলাকারীরা। এতে তাদের বড় ছেলে মোঃ আরিফ বিদেশ যাওয়ার জন্য নিজের হুন্ডা বিক্রির টাকাসহ মোট ১ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা, এক ভরি পরিমাণের স্বর্ণালংকার ছিল। হামলাকারীরা সব কিছু লুট করে নিয়ে যায় ।
আহত অন্যরা হলোঃ লাখি বেগম (২৫) বিবি রহিমা (৪০) রুমি বেগম (১৭) আহতদের কে নোয়াখালী সদর হসপিটালে চিকিৎসা প্রদান করা হয় ।
হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় ইউপি সদস্য খোরশেদ আলম হামলার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান,আমরা ঘটনাটি শুনে উভয় পক্ষকে আর কোন প্রকার বিশৃঙ্খলায় না জড়িয়ে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।শীঘ্রই বিষয়টি সামাজিকভাবে আমরা সমাধান করে দেবো।
আন্ডারচর ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন জসিম জানান,ব্যক্তিগত কাজে ঢাকায় আছি, আমি হামলার ঘটনা শুনেই আমার পরিষদের সদস্যকে নির্দেশ দিয়ে দিয়েছি উভয় পক্ষই যেন শান্ত থাকতে জোর নির্দেশ দেয়, আমি এসে বিষয়টি সামাজিকভাবে বসে সমাধান করব ।