নোয়াখালী: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনীত নৌকার প্রার্থী নোয়াখালী ৪ আসনের সাংসদ এরামুল করীম চৌধুরীর বিরুদ্ধে করা আপিল খারিজ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার । বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর আগাগাওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনের অডিটোরিয়ামে আপীল শুনানীর এ রায় ঘোষনা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।
জানা যায়, ৩ ডিসেম্বর (রোববার) মনোনায়ন পত্র যাচাই বাচাই শেষে একরামের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করেন নোয়াখালী জেলা প্রশাসক ও জেলা রির্টানিং কর্মকর্তা দেওয়ান মাবুবুর রহমান। এদিকে, প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে স্ত্রীর আয় বহিঃভূত সম্পদের হিসাব দাখিল না করা মর্মে নোয়াখালী ৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করীম চৌধুরীর মনোনয়ন বাতিলের আপিল আবেদন করেন প্রতিদ্বন্দ্বি স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি এড. শিহাব উদ্দিন শাহিন। এ বিষয়ে অ্যাড.গুলজার আহমেদ জুয়েল জানান, একরামুল করীম চৌধুরীর স্ত্রী নিজে একজন উপজেলা চেয়ারম্যান এবং সরকারের নিয়মিত টেক্স হোল্ডার তাই তার আয়ের হিসাব দায়োরের প্রয়োজন নেই বলে আপীল আবেদন খারিজ করা হয়েছে। রায়ের খবর পৌছামাত্র পেইজবুক সহ সোশাল মিড়িয়ায় তা ভাইরাল হয়ে যায়।
উল্লেখ্য, নোয়াখালী-৪ আসন একসময় বিএনপির ঘাঁটি বলেই পরিচিতি ছিল। দীর্ঘ ৩৩ বছর পর ২০০৮ সালে এ আসন পুনরুদ্ধার করেন এরামুল করীম চৌধুরী এমপি। সেই থেকে এ আসনটি বিগত ১৫ বছর আর হাত ছাড়া হয়ে যায়নি। সাধারণ জনগণ এবং তৃণমূল নেতাকর্মীদের পাশে থাকার কারণে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতি বঙ্গকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামীলীগের রাজনীতির কাঙ্ক্ষিত প্রাণ পুরুষ কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ৪র্থ বারের মতো তাকে আবারো নৌকার মনোনয়ন প্রদান করেন। এ আসনে মোট ৯ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়ন পত্র জমা দেন। সর্বশেষ আওয়ামীলীগ দলীয় প্রার্থী, স্বতন্ত্রী প্রার্থীসহ ৫ জনের মনোনয়ন পত্র বৈধ ঘোষণা করেন নোয়াখালী জেলা প্রশাসক ও জেলা রির্টানিং কর্মকর্তা দেওয়ান মাহবুবুর রহমান।
আগামী ৭ জানুয়ারি রোববার ভোট গ্রহণের দিন রেখে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। ঘোষিত তফশিল অনুযায়ী, এ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়া ৩০ নভেম্বর, তা ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর যাছাই বাছাই শেষ হয়েছে । মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। তার তিন সপ্তাহ পর হবে ভোটগ্রহণ। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ হবে। সেক্ষেত্রে মনোনয়নপত্র জমার জন্য ১৪ দিন সময় দেয়া হয়েছে এবং প্রচারের জন্য ১৯ দিন সময় রয়েছে। ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগে প্রচার শেষ করতে হয়। অর্থাৎ, ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ভোটের প্রচার চালানোর সুযোগ থাকবে। ইতিমধ্যে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ৬৪ জন রির্টানিং কর্মকর্তা এবং ৫৯২ জন সহকারী রির্টানিং কর্মকর্তা নিয়োগ চুড়ান্ত করা হয়েছে।