নোয়াখালী :
নোয়াখালী সদর উপজেলার পৌর এলাকার মাইজদী জেনারেল হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকা থেকে কিশোরী মরজিনা আক্তার (১৩) গত মঙ্গলবার বিকেলে নিখোঁজ হয়েছে। এ ঘটনায় সুধারাম থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। নিখোঁজ এর ৫ দিন পরেও ওই কিশোরীর সন্ধান মেলেনি।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স জেসমিন আক্তার জানান, গত দুই বছর থেকে মামাতো বোন মরজিনা আক্তার তাঁর বাসায় থাকেন। জেসমিন মাইজদী জেনারেল হাসপাতাল সংলগ্ন জামাল উদ্দিনের বাড়ির চতুর্থ তলায় ভাড়া থাকেন। গত ৫ ডিসেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে মরজিনা চতুর্থ তলা থেকে দ্বিতীয় তলায় একটি বাসায় যায়। মরজিনা বাসায় ফিরতে বিলম্ব হওয়ায় জেসমিন আক্তার তাঁর সন্ধানে বের হন। তিনি জামাল উদ্দিনের বাড়ি সহ আশপাশের এলাকায় ব্যাপক খোঁজাখুজি করেন, এতে মরজিনার সন্ধান মেলেনি। পরে ওই দিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে তিনি সুধারাম মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। রাতে নোয়াখালী পৌরসভা ও সদর উপজেলা এলাকায় মরজিনার নিখোঁজ এর সংবাদ মাইক এ প্রচার করেন এবং পরের দিন নিখোঁজ এর লিফলেট চাপিয়ে এলাকায় বিতরণ করেন।
জেসমিন আক্তার আরও জানান, গত ৫ ডিসেম্বর মরজিনা নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে জেলা শহর মাইজদী সহ জেলার বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি করেও তাঁর কোন সন্ধান পাননি। সুধারাম মডেল থানার সাধারণ ডায়েরি নং ৩৩৩, তারিখ ৫ ডিসেম্বর ২০২৩ইং।
উল্লেখ্য : জেসমিন আক্তার এর বাড়ি ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর থানার বালিহারা গ্রামে। তাঁর মামাতো বোন মরজিনা আক্তার এর বাড়ি ও একই এলাকায়। জেসমিন আক্তার নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চাকুরির সুবাধে মাইজদীতে আছে। গেল দুই বছর থেকে মামাতো বোন মরজিনা আক্তার তাঁর বাসায় থাকে।
এ নিয়ে জানতে চেয়ে সুধারাম মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর জাহিদুল হক রনির মুঠো ফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি। তবে জিডি’র তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই শ্রী লিটন চন্দ্র দত্ত জানান, কিশোরী মরজিনা আক্তার নিখোঁজ এর ঘটনায় সুধারাম মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিনি সদরের মাইজদী এলাকার বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি করেছেন এখন ও কিশোরীর কোন সন্ধান পাননি। তিনি আরও বলেন, ধারণা করা হচ্ছে মেয়েটার খাওয়ার প্রতি লোভ ছিল, কেউ লোভ দেখিয়ে হয়তোবা মেয়েটিকে বাসায় নিয়ে কাজ করাতে পারে।