তিনি নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে বলেন, সোমবার সকাল ১০টার দিকে মাহমুদুর রহমান বেলায়েত ঢাকার বাসায় স্ট্রোক করেন। তাৎক্ষণিক পরিবারের সদস্যরা তাকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
এদিকে মাহমুদুর রহমান বেলায়েতের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে অসংখ্য নেতাকর্মী ও সব শ্রেণিপেশার মানুষ তার ঢাকার বাসায় এবং গ্রামের বাড়িতে ভিড় জমান।
মাহমুদুর রহমান বেলায়েত নোয়াখালী জেলায় মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক হিসেকে ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি ছিলেন নোয়াখালী জেলা মুজিব বাহিনীর প্রধান। চৌমুহনী এসএ কলেজের সাবেক ভিপি ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করা মাহমুদুর রহমান বেলায়েত নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি সাবেক নোয়াখালী-১০ বেগমগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত সংসদীয় আসন (যা বর্তমানে নোয়াখালী-৩ আসন) থেকে প্রথমবার ১৯৭৩ সালে দ্বিতীয়বার ১৯৮৬ সালে নির্বাচিত সংসদ সদস্য।
মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ এইচ এম খায়রুল আনম সেলিম, সাধারণ সম্পাদক সহিদ উল্যাহ খান হোসেন, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী জাহাঙ্গীর আলমসহ জেলা এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের অন্য নেতারা।