নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে শ্বশুর বাড়ি থেকে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত মো. ছালা উদ্দিন (৩১) উপজেলার চরজুবিলী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ বাগ্গ্যা গ্রামের আতর আলীর ছেলে।
সোমবার (৯ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার চর বাগ্গা এলাকায় থেকে পুলিশ এ মরদেহ উদ্ধার করে।
পরিবারের অভিযোগ, পারিবারিক কলহের জের ধরে ছালা উদ্দিনকে গতকাল রোববার রাতে শ্বশুর বাড়িতে ডেকে নিয়ে হত্যা করে লাশ ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে তাদের বাড়িতে খবর দেওয়া হয়েছে।
নিহতের বড় ভাই আবুল বাসার ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত ও দোষীদের বিচার দাবি করেছেন। নিহতের ১০ বছরের ও ৫ বছরের দুইটি সন্তান রয়েছে। নিহত ছালা উদ্দিনের স্ত্রী আজিমা খাতুনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় ডেকে নিয়ে গেছে পুলিশ।
নিহতের বড় ভাই আবুল বাসার অভিযোগ করে বলেন, চার-পাঁচদিন আগে পারিবারিক বিষয়ে মনোমালিন্যের এক পর্যায়ে তার ছোট ভাই স্ত্রী আজিমা খাতুনকে (২৬) চড়-থাপ্পড় দেন। যার জের ধরে তিনি (স্ত্রী) বাপের বাড়িতে চলে যান। তার বাবার বাড়ির লোকজন এলাকায় রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী। যার দরুন ঘটনার পর তারা তার ভাইকে নানা হুমকি-ধমকি দেন। বাসার অভিযোগ করে বলেন, রোববার রাতে তার ভাইয়ের স্ত্রী তার ভাইকে ফোন করে দুই সন্তানের দিকে তাকিয়ে সংসার টিকিয়ে রাখার অনুরোধ জানিয়ে তাকে (ছালা উদ্দিন) শ্বশুর বাড়িতে যেতে বলে। এরপর রাত আনুমানিক এগারোটার দিকে তার ভাই বাড়ি থেকে শ্বশুর বাড়িতে যান। এরপর আজ সকালে তার ভাইয়ের স্ত্রীর বড় বোন তাকে ফোন করে বলেন, আপনার ভাই ফাস দিছে, তার লাশ নিয়ে যান।
বাসার অভিযোগ করেন, শ্বশুর বাড়ির লোকজন পরিকল্পিতভাবে তার ভাইকে খবর দিয়ে তাদের বাড়িতে নিয়ে হত্যা করে লাশ ঘরের ভেতর ঝুলিয়ে রেখেছে। তারা এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।
তবে নিহত ছালা উদ্দিনের স্ত্রী আজিমা খাতুন দাবি করেন, রোববার রাতে তার স্বামী তাকে ফিরিয়ে নিতে তাদের বাড়িতে আসেন। কিন্তু তখন তিনি বাড়িতে ছিলেন না। তিনি ছিলেন, তার অসুস্থ বড় ভাইয়ের বাড়িতে। সকালে তিনি বাবার বাড়ি ফিরে দেখেন ঘরের ভেতর তার স্বামীর লাশ ঝুলছে। তখন তিনি চিৎকার দিয়ে ঘটনাটি বাড়ির লোকজনকে জানান।
চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, স্থানীয় লোকজনের তথ্যের ভিত্তিতে সকালে পুলিশ শ্বশুর বাড়ি থেকে জামাতা ছালা উদ্দিনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরীকালে নিহত ব্যক্তির শরীরে আঘাতের কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি। পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।