• বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৩৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
আমাদের দেশকে নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র চলছে: মো. শাহজাহান ফ্যাসিস্ট শক্তিকে প্রতিহত করতে হবে: জামায়াত নেতা ইয়াছিন আরাফাত নোবিপ্রবিতে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত পাসপোর্টে হয়রানি বন্ধ ও জনগনের সাথে সুসম্পর্ক উন্নয়নে বিদায়ী জেলা পুলিশের ডিআইও-১ এর প্রশংসনীয় উদ্যোগ! নোয়াখালীতে “দ্যা হান্ড্রেড বল ক্রিকেট টুর্নামেন্ট” এর শুভ উদ্বোধন সুধারামে আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ প্রশাসন সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে- কামরুল ইসলাম ব্যবসায়ীদের আর্তনাদ কবিরহাটে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম ( বিএমএসএফ)’র  সাধারণ সভা জেলা প্রশাসকের কাছে ৪ শত কম্বল হস্তান্তর করলো ‘আশা’ সোনাপুর পৌর বাসস্ট্যান্ডটি যেভাবে মার্কেটে পরিণত হচ্ছে

যেকোন মুহুর্তে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার শঙ্কা

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : রবিবার, ৮ অক্টোবর, ২০২৩

নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
পোলটির রং লাল বলে স্থানীয়দের কাছে লালপোল নামেই পরিচিত। নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার চানন্দি ইউনিয়নের ভূমিহীন বাজার হতে কালাদুর বাজার হয়ে সুবর্ণচরের সোলেমান বাজারে যাতায়াতের অন্যতম ও প্রধানতম মাধ্যম ভূঁঁঞার খালের লালপোল ব্রিজ।

ব্রিজের দু’পাশের মাটি সরে চলছে খালের পানির তীব্র স্রোত। ফলে চরম ঝুকিপূর্ণ হয়ে ওঠেছে ব্রিজটির টিকে থাকা।খালের পাশে থাকা কয়েকটি বাড়ি ইতোমধ্যে নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার খবর পাওয়া যায়। এছাড়া, দৈনন্দিন জনজীবনে চলাচলে ভূমিহীন বাজার হতে সোলেমান বাজার পর্যন্ত সড়কটির সবটুকুই ভেঙ্গে চুরে খানাখন্দে তছনছ।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ভূঁঁঞার খালের পানির স্রোতের বেগবান প্রবাহে দু’পাশ ভেঙ্গে সাধারণ মানুষের জীবনে বয়ে আনছে চরম আতঙ্ক আর ভীতি। অনিদ্রার্ আর দুশ্চিন্তায় কাটছে তাদের জীবন। ব্রিজ এলাকায় খালের ভয়াবহ ভাঙ্গনের কবলে আশেপাশের আরো দোকান পাট,ঘর-বাড়ি, মসজিদ-মাদরাসাও যে কোন মুহূর্তে বিলীন হয়ে যেতে পারে।

এ খালটি ভুলুয়া খালের মোহনা হতে শুরু হয়ে ভূঁঁঞার হাটের পাশ দিয়ে চানন্দি ইউনিয়নের কতেক গ্রামের ওপর দিয়ে মেঘনায় পড়েছে। সকাল সন্ধ্যায় মেঘনার জোয়ার ভাটারও প্রভাব রয়েছে এ খালে। স্থানীয়রা বলেছেন, জোয়ার ভাটার তীব্র টানে ইতোমধ্যে খালের দু’পাশের অনেকের ঘর, বাড়ি বিলীনও হয়ে গেছে। এমন দৃশ্য প্রতিনিয়ত মানবতা আর মানবিকতাকে হাতিছানি দিয়ে ডাকছে।

স্থানীয়রা জানান, লালপোলটির দু’পাশের মাটি সরে যাওয়ার কথা তারা বিভিন্নমহলে অনেকভাবে জানানার চেষ্টা করেও কোন ফল পাননি।

নাছিরপুর এলাকার যুবক ফারুক, জসিম, নাছের,আবু তাহের, আলী হোসেনসহ অনেকে জানান, প্রতিদিনই এ পোল দিয়ে হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে। পোলটি বিপর্যস্ত হলে এ অ লের মানুষের দৈনন্দিন দুভোর্গ আরো বেড়ে যাবে। এতে তারা আরো বেশি ভোগান্তির শিকার হবেন।

এ বিষয়ে চানন্দির স্থানীয় চেয়ারম্যান আজহার উদ্দিন মুঠোফানে বলেন, পোলটির এমন চিত্র তিনি দেখেননি। তবে শুনেছেন। তিনি বলেন, আমার তো করার কিছুই নেই। ইউপিতে কি ইট, পাথর আছে ? আমি কি করতে পারি? তিনি আরো বলেন, কাউকে জানিয়েও কোন লাভ হবেনা। এখন বষার্কাল।

নোয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবার্হী প্রকৌশলী মুন্সি আমির ফয়সাল বলেন, পোলটি স্থানীয় সরকারের। এ বিষয়ে তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। কিন্তু খালটি আপনার এমন প্রশ্নে তিনি বলেন,আমি বিষয়টি দেখবো। তবে তিনি আশার কথা শুনিয়ে বলেন, একনেকে এ অ লে মেঘনার ভাঙ্গনরোধ প্রকল্পের কাজ আশা করছি সহসায় শুরু হবে। তাতে এ খালের ভাঙ্গন প্রবাহে কিছুটা ভাটা পড়তে পারে।

এ নিয়ে হাতিয়া উপজেলার নিবার্হী কর্মকতার্ সুরাইয়া আক্তার লাকি বলেন, আমি ওই এলাকায় ভাঙ্গনের খবর শুনেছি। দেখি, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে পোলটির বিস্তারিত খোঁজখবর নেবো।

হাতিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী বলেন, চানন্দিসহ পুরো হাতিয়ার রাস্তাঘাটের সব ধরনের খোঁজ খবর আমার জানা আছে। আমাদের সরকারের সময়ে এসব রাস্তাঘাট পাকাকরণ হয়েছে। ইতোমধ্যে অনেকগুলো পাকারাস্তা নদীগর্ভে ও বিলীন হয়ে গেছে। একটি রাস্তা নতুনভাবে নিমার্ণ কিংবা সংস্কারে সরকারের অনেক টাকার দরকার হয়। এ জন্য এ সময়ে মানুষ কিছুটা কষ্ট করছেন শুনে আমিও ব্যথিত। আশা করি, সরকারের ধারাবাহিকতায় আমরা সহসায় জনমানুষের উন্নয়নে অসমাপ্ত কাজগুলো সুন্দরভাবে সম্পন্ন করে মানুষের আশা আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটাতে পারবো। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একনেকে হাতিয়ার ভাঙ্গনরোধ প্রকল্প অনুমোদন করেছেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ
No comments to show.