• বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৪৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
আমাদের দেশকে নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র চলছে: মো. শাহজাহান ফ্যাসিস্ট শক্তিকে প্রতিহত করতে হবে: জামায়াত নেতা ইয়াছিন আরাফাত নোবিপ্রবিতে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত পাসপোর্টে হয়রানি বন্ধ ও জনগনের সাথে সুসম্পর্ক উন্নয়নে বিদায়ী জেলা পুলিশের ডিআইও-১ এর প্রশংসনীয় উদ্যোগ! নোয়াখালীতে “দ্যা হান্ড্রেড বল ক্রিকেট টুর্নামেন্ট” এর শুভ উদ্বোধন সুধারামে আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ প্রশাসন সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে- কামরুল ইসলাম ব্যবসায়ীদের আর্তনাদ কবিরহাটে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম ( বিএমএসএফ)’র  সাধারণ সভা জেলা প্রশাসকের কাছে ৪ শত কম্বল হস্তান্তর করলো ‘আশা’ সোনাপুর পৌর বাসস্ট্যান্ডটি যেভাবে মার্কেটে পরিণত হচ্ছে

 কারাগারে ঘুমের ভিতর হাজতির ২ চোখ নষ্ট করে দিল কয়েদী 

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : রবিবার, ১ অক্টোবর, ২০২৩

নোয়াখালী প্রতিনিধি>
নোয়াখালী জেলা কারগোরে এক হাজতির দু’চোখ নষ্ট করে দিয়েছে মাদক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত এক কয়েদী।ভুক্তভোগী হাজতির নাম নুর হোসেন বাদল (৩২) উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ডের কৃষ্ণপুর গ্রামের সাহাব উদ্দিনের ছেলে।
রোববার (১ অক্টোবর)  সকাল ৬টার দিকে নোয়াখালী জেলা কারাগারে এ ঘটনা ঘটে।ভুক্তভোগী হাজতির মামা নুর নবী সোহেল অভিযোগ করে বলেন, উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের ৫নম্বর ওয়ার্ডের মহিন উদ্দিন মহিন (৩০) মাদকাসক্ত ছিল।  গত তিন মাস আগে তাকে বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মাদক সেবনের দায়ে এক মাসের সাজা দিয়ে কারাগারে প্রেরণ করে। নারী নির্যাতন মামলায় আমার ভাগনে বাদল দুই বছর ধরে জেলে রয়েছে। ওই মামলা চলমান রয়েছে।  রোববার ভোররাতের দিকে কয়েদি মহিন কলম দিয়ে ঘুমের মধ্যে বাদলের দুটি চোখ উপড়ে ফেলতে আঘাত করে। কলমের আঘাতে একটি চোখ বের হয়ে যায় আরেক চোখের মধ্যে কলমের নিপ রয়ে যায়। সকাল ৭টার দিকে এক কয়েদি জেল থেকে মুঠোফোনে বিষয়টি আমাকে অবহিত করে।  এরপর আমি ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী হাসপাতালে ছুটে যাই। সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার জাতীয় চক্ষু হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
নোয়াখালী জেলা কারাগারের ডেপুটি জেলার সৈয়দ মো. জাবেদ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, চোখ উপড়ে ফেলার ঘটনা ঘটেনি। জেলের বাহিরের শক্রতার জের ধরে এ ঘটনা ঘটে। সকালে কারাগারে আনলক করা হয়। ওই সুযোগে কয়েদি মহিন সে হাজতি বন্দি বাদলকে ঘুমন্ত অবস্থায় কলম দিয়ে দু’চোখে আঘাত করে রক্তাক্ত করে। সাথে সাথে ভুক্তভোগী হাজতিকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকার জাতীয় চক্ষু হাসাপাতালে রেফার্ড করে দেয়।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে ডেপুটি জেলার জাবেদ আরো বলেন, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে জেলকোর্ট অনুসারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও তার বিরুদ্ধে নোয়াখালী কারাগারের জেলার আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে সুধারাম মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ
No comments to show.