ছয়ানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওহিদুজ্জামান বলেন, ‘অনেকেই বলে নিহত মাসুদের সাথে ওই বাড়ির মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তারা সম্পর্কে দেবর ভাবী ছিল। কোনটা ঠিক কোনটা বেঠিক আমরা বুঝতে পারতেছি না। মানুষ তো মুখ খুলে কথা বলতে ছেনা। এখানে রাতের তিনটার সময় গাছের সাথে বাঁধছে। অনেক গুলো মানুষ জড়ো হয়েছে। একটা ভিডিওতে দেখলাম একটা ছেলে খুব মারতেছে। গ্রাম পুলিশ ও ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যকে রাতে তারা কেউ খবর দেয় নাই। সকালে ওই ওয়ার্ডের মেম্বার ফোনে আমাকে ঘটনা জানায়। পরে পুলিশ গাছের সাথে বাঁধা অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করে।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য ইউসুফ আলী বলেন, “আমি শুনছি ঘরে চোর ঢুকছে চোর পিডি মারি ফালাইছে। বাইন্তে (বাঁধতে) পারে পিডতে (পিটাইতে) পারে কিন্তু মারি ফালানো কোসো আইনে নাই তো।’
ভিডিও প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি ভিডিওটি দেখেছি। কিন্তু কোন মেম্বারের কথা বলেছে আমি জানি না। যারা ঘটনাস্থলে ছিল তারা জানে। আমি তখন ছিলাম না। আমি সকালে ঘটনাস্থলে যাই।’
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) ফরিদুল আলম বলেন, ‘গণপিটুনির ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে একটি মামলা করা হয়েছে। অপরদিকে চুরির ঘটনায় গৃহকর্তা বাদি হয়ে মামলা করেছেন।’
নিহত মাসুদের চাচা জাকির হোসেনের অভিযোগে মামলা না নেয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘একই ঘটনায় দুটি মামলা হয় না। ওদের কোনো অভিযোগ থাকলে তদন্তে নিয়ে আসা হবে। ঘটনার পর নিহতের কেউ না আসায় উপ-পরিদর্শক শাহেদুর রহমান বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।’
বেগমগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজমুল হাসান রাজিব বলেন, ‘আইন বহির্ভূত কোনো কাজ পুলিশ সমর্থন করে না। যেহেতু হত্যা একটি ঘৃণ্য ঘটনা তাই পুলিশ বাদি হয়ে মামলা নিয়েছে। তদন্তে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।’