নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার ভীমপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে অসহনীয় গরমে পরীক্ষা শেষে জ্ঞান হারিয়েছে দুই শিক্ষার্থী। আজ বুধবার (৭ জুন) দ্বিপ্রহরে এ ঘটনা ঘটে।
শিক্ষার্থীরা হলেন উপজেলার ভীমপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কারিগরি কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের দশম শ্রেণীর ছাত্রী তানজিলা সুলতানা ও একই স্কুলের ব্যবসায়িক শিক্ষা বিভাগের নবম শ্রেণীর ছাত্রী কানিজ ফাতেমা রিয়া।
শিক্ষার্থীদের আজ দুপুর একটায় তাদের সহপাঠীরা গুরুতর অবস্থায় তাদের চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি দিয়ে দেন।
ভীমপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কারিগরি কলেজের প্রধান শিক্ষক মোঃ আনোয়ার হোসেন জানান, সকালে অন্যান্য শিক্ষার্থীদের সাথে স্কুলে মধ্যবর্ষ পরীক্ষা দিতে আসেন ওই দুই শিক্ষার্থী। সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। নবম ও দশম উভয় শ্রেণীতেই আজ বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা ছিল। তারা দুজনেই পরীক্ষা চলাকালীন সুস্থ ও স্বাভাবিক ছিল। পরীক্ষা শেষে বাড়ি যাবার সময় আনুমানিক দেড়টায় গরমে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন তারা। এ সময় তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে যায় সহপাঠীরা। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিয়ে তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি দিয়ে দেন। স্কুল থেকে তাদের দেখাশোনার জন্য ২ জন শিক্ষক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে। তবে দু’জনই আগে থেকে শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগছিলেন এবং একাধিকবার চিকিৎসাও নিয়েছেন।
চাটখিল উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার জান্নাতুল ফেরদৌস বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অসুস্থ দুই শিক্ষার্থীদের তাদের সহপাঠীরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে এসেছে। আমরা প্রাথমিকভাবে দেখে ও তাদের সহপাঠীদের সাথে কথা বলে নিশ্চিত হয়েছি প্রচন্ড তাপ দাও সেই সাথে পরীক্ষার হলে মানসিক চাপ এ কারণে শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়েছিল আমরা দুজনকে চিকিৎসা দিচ্ছি আশা করি তারা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন।
প্রচন্ড গরমে ওই দুই শিক্ষার্থী জ্ঞান হারিয়েছেন বলে জানান চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা খন্দকার মোশতাক আহমেদ। তিনি বলেন, বর্তমানে তারা আশংকামুক্ত আছেন।