নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ নোয়াখালী সুবর্ণচরে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও নিজ অর্থায়নে অসহায়, গরীব , দুস্থ ও সুবিধাবঞ্চিত এলাকাবাসির মাঝে ইফতার সামগ্রী ও ঈদ উপহার এবং নগদ অর্থ বিতরণ করেন উপজেলার ৮নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ মহি উদ্দিন চৌধুরী।
১৮ এপ্রিল (মঙ্গলবার) বেলা ১২ টায় মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের আক্তার মিয়ার হাট নিজ বাড়ির আঙ্গিনায় , চৌরাস্তা বাজারসহ একাধিক স্পটে এসব ইফতার, ঈদ উপহার ও নগদ অর্থ বিতরণ করেন।
এর আগে বেলা ১১ টায় ইউনিয়ন পরিষদসহ একাধিক স্থানে ভিজিএফ, ভিজিডি ও ভিডব্লিউডি চাল বিতরণের কার্যক্রম উদ্ধোধন করেন তিনি। এসময় তিনি চাল মাপে কোন প্রকার যেন অনিয়ম না হয় নিজে তপ্ত রৌদে দাড়িয়ে থেকে সঠিক ভাবে ভন্টনের জন্য নির্দেশ দেন।
রমজানের শুরু থেকে প্রায় ১০ হাজার মানুষের মাঝে ইফতার সামগ্রী, নগদ অর্থ ও ঈদ উপহার বিতরণ করে আসছেন এছাড়া চিকিৎসা বঞ্চিত দৃস্থদের চিকিৎসার জন্য অর্থ প্রদান করেন তিনি। চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবার আগ থেকে দীর্ঘ ১০ বছর ধরে তিনি এভাবেই মানুষকে সাহায্য সহযোগিতা করে আসছেন।
৮নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ মহি উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সুবর্ণচরে অন্যান্য ইউনিয়নের চেয়ে আমার ইউনিয়নটি অনেকটাই অবহেলিত, এখানে অধিকাংশ মানুষ নিম্ন আয়ের, অনেকের নূন আনতে পানতা পুরায়, করোনার সময় অনেকে কর্মহীন হয়েছে, অনেকে ব্যবসা বাণিজ্য হারিয়ে নিঃশ্ব প্রায়। এখানে হাতে গোনা কিছু বিত্তশালী ছাড়া বাকিরা দিন মজুর। আমি আমার সামর্থ্য অনুযায় মানুষের সেবা করার চেষ্টা করছি পাশা পাশি যদি বিত্তবান প্রবাসী এবং ইউনিয়নের উচ্চতর আসনে চাকুরীরত প্রভাবশালীগন এই অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ায় তাহলে আমরা আরো বহুদূর এগিয়ে যাবো।
তিনি বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ভূয়ষী প্রশংসা করে বলেন, শেখ হাসিনা আছে বলেই মানুষ আজ ভিজিডি, ভিজিএফ, বিডাব্লিউডি কার্ডের চাল পেয়ে অনেক মানুষ দু মুঠো ভাত খেতে পারছে বিএনপি সরকার হলে তা কোন দিন সম্ভব হতো না, তাছাড়া কার্ড ধারীরা ১০ টাকায় চাল কিনে লক্ষ লক্ষ পরিবার নিশ্চিন্তে দু বেলা খেতে পারছে। আসুন আমরা শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে একসাথে দেশের জন্য কাজ করি।
তিনি জানান আগামী ২৮ রমজান গরীব মহিলাদের মাঝে নিজস্ব তহবিল থেকে শাড়ি বিতরন করা হবে।।
সুবিধাভোগীরা বলেন, প্রতি বছর মহি উদ্দিন চেয়ারম্যান আমাদেরকে রোজাতে ইফতার, ঈদে শাড়ী, লুঙ্গি, নগদ টাকা দিয়ে সহযেগিতা করছে, এমন চেয়ারম্যান পেয়ে আমরা গর্বিত। আমরা চাই এই চেয়ারম্যান হাজার বছর বেঁচে থাকুক।