সুবর্নচর (নোয়াখালী) প্রতিনিধি>
কুল বা বরই। দক্ষিণ এশিয়ায় বহুল প্রচলিত এ ফল বাংলাদেশে প্রায় সর্বত্র, সব মাটিতেই জন্মে। দেশীয় ফলের পাশাপাশি বল সুন্দরী আর কাশ্মীরি কুলে সফলতার স্বপ্ন বুনছেন নোয়াখালীর সুবর্ণচরের চাষিরা। কৃষির অভয়ারণ্য সুবর্ণচরে প্রথম বছরেই বাণিজ্যিক কুল চাষে সাফল্য পেয়েছেন কৃষকরা।
বাউকুল ও আপেল কুলের সংকরায়নে উদ্ভাবিত বল সুন্দরী এবং দেখতে অনেকটা মাঝারি সাইজের আপেলের মতো স্বাদে হালকা মিষ্টি কাশ্মীরি কুল চাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন নোয়াখালীর সুবর্ণচরের চাষি মো. এনায়েত উল্যাহ। বাজারে ন্যায্য দাম, ব্যাপক চাহিদা আর কম খরচে অধিক লাভ পেয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তুলছেন তিনি। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে বিনামূল্যে কুলের চারা, সার, কীটনাশক, নগদ অর্থ সহায়তা ও পরামর্শ পেয়ে বছর না ঘুরতেই এমন ফলন পাওয়ায় আগামীতে সুবর্ণচরে কয়েকগুণ কুলের চাষ বাডবে বলে ধারনা তার।
কুল চাষি মো. হানিফ বলেন, ফেব্রুয়ারিতে চারা রোপনের পর আগষ্টে ফুল আর ডিসেম্বর থেকেই ফলন পেয়ে খুশি সুবর্নচরের কুল চাষিরা। আড়াইশ চারা রোপনে সব মিলিয়ে ৫০ হাজার খরচ করে লাখ দেড়েক টাকার ফলন ফলন তুলেছেন হানিফ। বাণিজ্যিক ভাবে প্রথম হলেও তাদের আন্তরিকতায় সম্ভবনাময় এ কুল চাষ নোয়াখালীতে ব্যাপক হারে বৃদ্ধি করতে কৃষি অফিসের পাশাপাশি তরুন উদ্যোক্তা ও শিক্ষার্থীরা বেকার সময় দুর করছে কুল চাষে।
সুবর্ণচর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হারুন অর রশীদ জানিয়েছেন, সুবর্ণচরে এসএসিপি প্রকল্পের আওতায় ৫একর জমিতে কুল আবাদ হলেও আগামীতে ব্যপক হারে বৃদ্ধি পাবে। সুবর্ণচরের কুল নোয়াখালীর চাহিদা মিটিয়ে আগামীতে সারা দেশে রপ্তানি হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তার মতে প্রকল্প সহায়তা অব্যাহত রাখলে কৃষক লাভবান হবে। কারণ, কৃষকের মুখে হাসি ফুটলেই; বাংলাদেশের মুখে হাসি ফুটবে।