বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগের নব্য নেতারা সম্পদ লুট করে আজ বিদেশে বাড়ি কিনছেন। সারাদেশের মানুষ জানে, সরকারের লোকেরা আজ সম্পদ লুট করছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) জিয়াউর রহমানের ৮৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বিএনপির আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ ভিন্ন কায়দায় একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করে ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার চক্রান্ত করেছে। অতীতের মতো আবারও যেনতেনভাবে ক্ষমতায় যেতে চায়। সরকারের বিরুদ্ধে মানুষ জেগে উঠেছে।
তিনি বলেন, অনেক ক্ষতি হয়েছে, অনেকে প্রাণ দিয়েছে তাদের রক্ত বৃথা যাবে না।
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, জেল-জুলুম সব উপেক্ষা করে সামনের দিকে এগিয়ে যাব। ১০ দফা দাবি আদায়ে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে নতুন নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন আদায় করা হবে। এই শপথে নেতা-কর্মীদের অটুট থাকার আহ্বান।
তিনা বলেন, আর কালক্ষেপণ নয়, সাহস নিয়ে এগিয়ে আগামীতে সরকারকে পরাজিত করে উদার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্য পূরণ করা হবে।
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, সরকার নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। দলীয়করণ করে আইনের শাসন ধ্বংস করেছে। আওয়ামী লীগ আর গণতন্ত্র সাংঘর্ষিক। সরকারকে পতন ঘটিয়ে নতুন বাংলাদেশ গঠন করা হবে।
সভায় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, গ্যাসের দাম বাড়িয়ে সব জিনিসপত্রের দাম বাড়ানো হলো। সাধারণ মানুষের নাভিঃশ্বাস উঠে গেছে। বিএনপি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে পরাজিত করবে।
তিনি বলেন, বিএনপির আন্দোলনে জনসম্পৃক্ততা দেখে সরকারের গাত্রদাহ শুরু হয়ে গেছে। সরকার বাংলাদেশে বিভক্তির রাজনীতির চর্চা করছে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি নির্বাচনে যাবে, তবে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নয়। আন্দোলনের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করে নির্বাচনে বিজয় অর্জন করবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দেশের গণতন্ত্র হরণ করেছে, নির্বাচন হয় না। গণতন্ত্র রক্ষা করতে হলে রক্ত দিতে হবে, রাজপথ রঞ্জিত করতে হবে। এরমধ্যে ১০ জন মারা গেছে, দাবি আদায়ে প্রয়োজনে আরও রক্ত দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
