মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়ছে? দ্রুতই বাদ দিতে হবে যেসব অভ্যাস
সাধারণ ব্যাধিগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো মাইগ্রেন। এর ব্যথায় ভোগেন না এমন মানুষের সংখ্যা হাতে গোনা। মাইগ্রেনের সমস্যা হলে মাথা যন্ত্রণার সঙ্গে গা গোলানো কিংবা মাথার এক পাশ থেকে শুরু হয়ে গোটা মাথায় ছড়িয়ে পড়া অসহ্য ব্যথা। কারও কারও সঙ্গে হালকা জ্বরও থাকে। একটানা বেশ কদিন থাকার কারণে মাইগ্রেনের যন্ত্রণা শরীরকে কাহিল করে দেয়। কিছু কিছু অভ্যাসে এর ব্যথার তীব্রতা বাড়তে পারে।
অল্প বয়সে পাকছে চুল? ঘরোয়া পদ্ধতিতেই মিলবে মুক্তি
দৈনন্দিন জীবনে এমন অনেক অভ্যাস আছে যার কারণে মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়ে। এ কারণে মাইগ্রেনের ব্যথা কমাতে কিছু অভ্যাস পরিবর্তন জরুরি।
প্রথমত নিয়মিত ঘুম। অবশ্যই প্রতিদিন কমপক্ষে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন। একান্ত না পারলে অন্তত ৬ ঘণ্টা ঘুমান। রাত জেগে মোবাইল দেখার অভ্যাস নিয়ন্ত্রণ করুন। মাইগ্রেন থেকে রেহাই না পেলেও ব্যথার তীব্রতা থেকে মুক্তি পাবেন।
দ্বিতীয়ত অতিরিক্ত চিনি এড়িয়ে চলুন। বেশি চিনি খেলে রক্তেও চিনির পরিমাণ বেড়ে যায়। আর রক্তে চিনির পরিমাণ বাড়লে মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। তাই মিষ্টি জাতীয় কিছু খেলেও তাতে পরিমিতি বোধ রাখা জরুরি।
তৃতীয়ত পেট খালি না রাখা। দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকলে গ্যাস্ট্রিকের প্রকোপ শুরু হয়। মাইগ্রেন টেনে আনতে গ্যাস্ট্রিকের জুড়ি নেই। কাজেই গ্যাস্ট্রিক এড়াতে পেট খালি না রাখাই উচিত। এক্ষেত্রে হাতের কাছে সব সময় শুকনো খাবার রাখুন। সহজেই পেটে চালান করে দিন।
চতুর্থত কফি খাওয়ার অভ্যাস ধীরে ছাড়ুন। নিয়মিত কফিপানের অভ্যাস সবারই থাকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক গবেষণায় দেখা গেছে, মাইগ্রেন রোগীদের ক্ষেত্রে ক্যাফিনের উপস্থিতি হঠাত্ বন্ধ করে দিলে মাইগ্রেনের সমস্যা বাড়ে। এ কারণে কফি ছাড়তে হলে ধীরে ধীরে ছাড়ুন। কিন্তু এই অভ্যাস থাকলে হঠাত্ তা বন্ধ করবেন না।
পঞ্চমত চোখের যত্ন নিন। দৈনন্দিন জীবন এখন স্ক্রিনময়। ফোন ও কম্পিউটারে চোখ রেখেই চলছে জীবন। যা মাইগ্রেন ব্যথাকে বাড়িয়ে দেয়। তাই একটানা কম্পিউটারের দিকে তাকাবেন না। অফিসে একটানা কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ করার মধ্যে বিরতি না নিলে মাইগ্রেনের সমস্যা বাড়বে। কাজের ফাঁকে ফাঁকে একটু চোখ-মুখে পানি ছিটিয়ে নিন।