শনিবার (৭ জানুয়ারি) গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। এদিন আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতির জনকের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। এদিন নতুন কমিটির প্রথম যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয় টুঙ্গিপাড়ায়।
আগামী নির্বাচন নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে আসবে। অস্তিত্বের জন্য নির্বাচনে আসতেই হবে। আগামী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিন। আসুন, আমরা একসঙ্গে নির্বাচন করবো। নির্বাচন সুষ্ঠু হবে, অবাধ হবে। দুদিন আগে গাইবান্ধায় যে উপনির্বাচন হয়েছে, এ রকম সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন হবে। কেউই হস্তক্ষেপ করবে না।’
নতুন করে সংকট সৃষ্টি না করতে বিএনপির প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অংশগ্রহণের মাধ্যমে আসুন আমরা আগামী জাতীয় নির্বাচনে একসঙ্গে লড়াই করি। আশা করছি বিএনপি নতুন করে কোনো সংকট তৈরি করবে না। জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে অনেক চ্যালেঞ্জ আসতে পারে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আওয়ামী লীগ সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে।’
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শুধু শুধু দেশের মানুষকে কষ্ট দিচ্ছেন কেন? দেশের মানুষকে, ভোটারদেরকে শাস্তি দিচ্ছেন কেন? আন্দোলনের নামে আজকে আপনারা এই যে বাস পোড়ানো, সামনে আপনাদের আরও ভয়ংকর প্রোগ্রাম আছে বলে আমরা শুনি। এই সব করে দেশের সংকটের সময় আরও নতুন সংকট ডেকে এনে দেশের মানুষকে বিপদে জর্জরিত করা থেকে আপনাদের বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘পাকিস্তান ছাড়া পৃথিবীর কোথাও এই তত্ত্বাবধায়ক সরকার নেই। এই অসাংবিধানিক অস্বাভাবিক সরকার আমরা চাই না। বাংলাদেশের জনগণ এই অস্বাভাবিক সরকার চায় না। যেভাবে পৃথিবীর অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে নির্বাচন হয়, বাংলাদেশেও ঠিক একইভাবে নির্বাচন হবে। সরকার কোনো হস্তক্ষেপ করবে না। সরকার শুধু নির্বাচনকালীন রুটিন দায়িত্ব পালন করবে।’
চলতি বছরকে চ্যালেঞ্জিং বছর আখ্যায়িত করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘সামনে আরও কঠিন চ্যালেঞ্জ আসতে পারে। আমরা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ২২তম সম্মেলন করেছি। যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আওয়ামী লীগ প্রস্তুত। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে আমাদের উন্নয়ন কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। আপনারা জানেন, মেট্রোরেলের ফার্স্টফেজ, পদ্মা সেতু উদ্বোধন হয়েছে। শত সেতু করেছি, শত রাস্তা করেছি। সামনে অনেক কাজ আছে।’