মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ তাদের জামিন দেন।
পল্টন থানায় দায়ের করা নাশকতা মামলায় প্রায় এক মাস ধরে কারাগারে থাকা বিএনপির শীর্ষ দুই নেতাকে ছয় মাসের জামিন দিয়েছেন উচ্চ আদালত।
আসামিপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। জামিন আবেদনের বিরোধিতা করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর। শুনানি শেষে আদালত ছয় মাসের জামিন মঞ্জুর করেন।
এর আগে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের জামিন আবেদন বিচারিক আদালতে চারবার নাকচ হয়। গতকাল সোমবার (২ জানুয়ারি) তাদের পক্ষে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করা হয়।
গত ১০ ডিসেম্বর বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ ও স্থান নির্ধারণ নিয়ে উৎকণ্ঠা-উত্তেজনার মধ্যে গত ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে জমায়েত হওয়া বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এতে একজন নিহত ও অনেকে আহত হন।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে হাতবোমা ছোড়া হয়েছে- এমন অভিযোগ তুলে তখন ওই কার্যালয়ের ভেতরে অভিযান চালায় পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় দলটির বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতাসহ কয়েক শ নেতাকর্মীকে। সেদিন ফখরুলকে গ্রেফতার করা না হলেও পরদিন রাতে বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়। সেই রাতে আটক করা হয় মির্জা আব্বাসকেও।
পরদিন ৯ ডিসেম্বর পুলিশের ওপর হামলা ও উসকানি দেওয়ার মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে পাঠানো হয় আদালতে। আদালতে তাদের পক্ষে জামিন আবেদন হলেও তা নাকচ করে পাঠানো হয় কারাগারে। এরপর চার দফা নিম্ন আদালতে জামিন নামঞ্জুর করা হয় তাদের।