প্রায় ১৭ বছর পর নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে কর্মী সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বসুরহাট বাজার শাখা। শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০ টার থেকে উপজেলার নির্ঝর কনভেনশন অডিটোরিয়ামে শাখা সভাপতি গিয়াস উদ্দীন দিদারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক খাজা গিয়াস উদ্দীন আহমেদের সঞ্চালনায় এই কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নোয়াখালী জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা বোরহান উদ্দিন এবং প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সোনাইমুড়ী হামিদিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা সাইফুল্লাহ মনির। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ বেলায়েত হোসেন, বসুরহাট পৌর জামায়াতের আমীর মাওলানা মোশাররফ হোসাইন। বক্তারা বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের আশকারায় তার ভাই কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বসুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র আবদুল কাদের মির্জা এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন। তাকে চাঁদা না দিয়ে কেউ বাড়িঘর, দোকানপাট নির্মাণ করতে পারতেন না।
এছাড়া কাদের মির্জার প্রত্যক্ষ নির্দেশে ২০১৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর পুলিশ ও ছাত্রলীগ গুলি করে সাত শিবিরকর্মীকে প্রকাশ্যে হত্যা করেছে। তাদের নেতৃত্বে শিবির অধ্যুষিত কোম্পানীগঞ্জ মডেল স্কুল জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমাদের অসংখ্য ভাইকে জুলুম-নির্যাতন করা হয়েছে। জেলা জামায়াত নেতা বোরহান উদ্দিন বলেন, প্রতিশোধের রাজনীতি জামায়াত করে না। আমাদের উপর জুলুমের বিচার আল্লাহর তরফ থেকে হবে। আমরা জনগণের কল্যাণে দ্বীন প্রতিষ্ঠার রাজনীতি করি। সবাই মিলে খেয়াল রাখবেন। আমরা আমাদের লক্ষ্য থেকে যেন বিচ্যুত না হই।
মাওলানা মোশাররফ হোসাইন বলেন, কাদের মির্জার অত্যাচারের মধ্যেও জনগণের পাশে ছিলাম আছি থাকবো। তবে বসুরহাটের ব্যবসায়ীরা আগে যেভাবে চাঁদাবাজি সন্ত্রাসের স্বীকার হয়েছেন। আর যাতে আগের সেই জুলুম ফিরে না আসে আমরা সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সমাবেশে বসুরহাট পৌর জামায়াতের সেক্রেটারি মো. হেলাল উদ্দিন, শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের সভাপতি মো. ইয়াকুব হোসেন,থানা মসজিদের ইমাম মাওলানা আবুল হাশেম, বায়তুলমাল সেক্রেটারি শাহাদাত হোসেনসহ বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।