কোম্পানীগঞ্জ:
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বিক্ষুব্ধ জনতার রোষ থেকে বাঁচতে সপরিবারে পালিয়ে গেছেন। দুপুর ১টার আগে বিক্ষুব্ধ জনতা বসুরহাট পৌরসভা কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে দেওয়ার পরপরই মেয়র কাদের মির্জা তার পরিবারসহ বাড়ি ছেড়ে অজ্ঞাত স্থানে পালিয়ে যান বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং দেশত্যাগের সংবাদ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিক্ষুব্ধ জনতা লাঠিসোটা নিয়ে কাদের মির্জার বড় রাজাপুরের বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। বিক্ষুব্ধরা একে একে বসুরহাট পৌরসভা কার্যালয়, মির্জা টাওয়ার, উপজেলা আওয়ামী লীগ অফিসসহ বেশ কয়েক স্থানে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ চায়। এছাড়াও বসুরহাট জিরো পয়েন্ট, উপজেলা পরিষদ চত্বরে থাকা বিভিন্ন ম্যুরাল ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়।
৭১-এর বিজয় অনেকে না দেখলেও এ যেন ওই সময়ের বিজয়ের কথা মনে করিয়ে দেয়। জাতীয় পতাকা মাথায় বেঁধে ও উঁচিয়ে নানা ধরনের লাঠি হাতে নিয়ে বিক্ষুব্ধ হাজার জনতা বিজয় উল্লাসে মেতে ওঠে। নানা স্থাপনায় ভাঙচুর করতে গিয়ে মুহুর্মুহু ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বিক্ষুব্ধরা। এ সময় তাদের ছোড়া ককটেল ও ইট পাটকেলে আহত হয় কমপক্ষে ২৫ জন। আহতদের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বিক্ষুব্ধরা নানা স্থানে আওয়ামী লীগ সমর্থিত লোকজনের বাসা বাড়িতে হামলার ঘটনা চলমান রয়েছে বলে জানা গেছে।
কোম্পানীগঞ্জ