তবে পুষ্টিবিদরা বলেছেন, বর্তমানে ফ্রিজগুলো যেভাবে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করছে, সে কারণে নিশ্চিন্তে ফ্রিজে সাত দিন খাবার রাখতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে কিছু সতর্কতা থাকা জরুরি।
** রান্নার আগে ডিপ ফ্রিজ থেকে বের করে মাছ, মাংস বের করে রেখে দিন। স্বাভাবিক তাপমাত্রায় এলে রান্নার জন্য যতটুকু প্রয়োজন ততটা রেখে আবার ফ্রিজে রেখে দিন। কারণ এইভাবে অনেকক্ষণ বাইরে রাখার পর তুললে ব্যাক্টেরিয়া বাসা বাঁধতে পারে। তাপমাত্রার কারণে এমনটা হয়। অনেক দিনের জন্য খাবার রাখলে আলাদা আলাদা বক্সে ভরে রাখুন।
** রান্না করা খাবারের ক্ষেত্রে বারবার ফ্রিজ থেকে বের করবেন না। পুরোটা গরম করে আবার ফ্রিজে তুলে না রাখাই ভালো বরং আলাদা পাত্রে খাবার রাখুন। অল্প অল্প করে গরম করুন।
** অল্প গরম অবস্থায়ই খাবার ফ্রিজে রাখতে পারেন। এতে খাবার নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয় কম।
** সারা সপ্তাহের জন্য শাক-সবজি এবং ফল কিনে এনে ফ্রিজে রেখে দেন অনেকেই। তাতে বারবার বাজারে যাওয়ার ঝক্কি আর থাকে না। ফ্রিজে রাখলে ফল, সবজি নষ্ট হয় না ঠিকই। কিন্তু অনেক দিন রেখে দিলে শাক-সবজি এবং ফলে থাকা ভিটামিন, মিনারেলস, ফাইবারের মতো উপকারী উপাদান কমে যায়। ফলে তখন খেয়েও আর কোনো সুফল পাওয়া যায় না।
** রান্না করা খাবার ফ্রিজে অবশ্যই ঢেকে রাখতে হবে।
** রান্না করা খাবার ফ্রিজে ৪৮ ঘণ্টার বেশি না রাখাই ভালো। তবে খুব বেশি প্রয়োজনে ডিপ ফ্রিজে মাংস রান্না করে রাখতে পারেন। সেটা এক সপ্তাহের বেশি নয়।
** দুধ জ্বাল দিয়ে ফ্রিজে ৪৮ ঘণ্টার বেশি না রাখাই ভালো। বেশিদিনের জন্য হলে ডিপ ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন। সাত দিন পর্যন্ত দুধ ভালো থাকবে।
** আদা ও রসুন বাটা ফ্রিজে এক সপ্তাহ রাখতে পারেন।