জুয়েল রানা লিটন;
দিন যতই যাচ্ছে, মানুষ বই পড়ার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। বই মানে খুবই ভাল বন্ধু- এ বিষয়টি তারা দিন দিন ভুলেই যাচ্ছে। সেলুনে চুল কাটতে এসে গ্রাহকেরা ঘণ্টার পর ঘন্টা অপেক্ষায় থাকে। কেমন যেন একটা বিরক্তি কাজ করে সবার মধ্যে। মনে হয়, যদি কিছু একটা থাকত, তাহলে ওটা করে অপেক্ষার সময়টা কটিয়ে দেয়া যেত।
আর তাই গ্রাহকদের এ চিন্তা দূর করতে ও মানুষকে বই পড়ার প্রতি আগ্রহ বাড়াতে একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ ‘সেলুন পাঠাগার বিশ্বজুড়ে’। বর্তমানে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে কবি, সংগঠক, অভিনেতা ও ব্যবসায়ী গোলাম মাওলা জসিমের অর্থায়নে সেলুনে সেলুনে বই পড়ার ব্যতিক্রমী উদ্যোগ ‘সেলুন পাঠাগার বিশ্বজুড়ে’র
এ কার্যক্রম। নোয়াখালী ফেনী, চট্টগ্রাম ও ঢাকাসহ দেশের প্রায় ১০০ এর কাছাকাছি সেলুনে শোভা পাচ্ছে জনপ্রিয় লেখকদের
বই সম্বলিত দৃষ্টিনন্দন বুক সেলফ। সংশ্লিষ্টরা এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছে। তারা বলছেন, ‘এ কার্যক্রমের ফলে অনেকে বই পড়ায় উদ্বুদ্ধ হবে। এটি একটি ব্যতিক্রমী কার্যক্রম। এ কার্যক্রম সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে হবে। গোলাম মাওলা জসিমের এ উদ্যোগ খুবই প্রশংসনীয়। অবসরে বই পড়ুন’ এ স্লোগানকে সামনে রেখে ২০১৮ সালের ৩০ জুন গোলাম মাওলা জসিমের উদ্যোগে নোয়াখালীতে রতনের সেলুনে বই 9 আলমারি বিতরণের মাধ্যমে ‘সেলুন পাঠাগার বিশ্বজুড়ে’র কার্যক্রম শুরু হয়।
বর্তমানে এটি ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে সারা দেশে। কবি, ও লেখক গোলাম মাওলা জসিম বাংলাদেশের সাহিত্য ও সংস্কৃতি অঙ্গনে একটি পরিচিত মুখ। দীর্ঘ তিন দশক ধরে তিনি সাহিত্যের নানা শাখায় লিখে আসছেন। বিশেষ করে শিশুদের জন্য রচিত তার বেশ কয়েকটি কাব্যগ্রন্থ প্রশংসিত হয়েছে। এবার তার সেলুন পাঠাগার বিশ্বজুড়ে’ কার্যক্রমের জন্য সুধী মহলে বেশ প্রশংসিত হচ্ছেন।
সেলুনে সেলুনে সেলুন পাঠাগার বিশ্বজুড়ে’ স্থাপন করেছেন সম্পূর্ণ নিজ অর্থায়নে । ‘সেলুন পাঠাগার বিশ্বজুড়ে’ উদ্বোধন করতে গিয়ে কবি ও লেখক আরিফ চৌধুরী বলেন, ‘দেশের প্রতিটি সেলুনে ‘সেলুন পাঠাগার বিশ্বজুড়ে’ চালু করতে হবে। তাহলে মানুষের মধ্যে বই পড়ার অভ্যাস সৃষ্টি\ হব। গোলাম মাওলা জসিমের এ উদ্যোগ পাঠক সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আমি এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই । চট্টগ্রাম সিটির জামাল খান ওয়ার্ডের কাউন্সির শৈবাল দাশ সুমন বলেন, মানুষের মধ্যে বই পড়ার আগ্রহ সৃষ্টি করতে ‘সেলুন পাঠাগার বিশ্বজুড়ে র সেলুনে সেলুনে এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগের ফলে সেলুনে আগত সেবাগ্রহীদের বই পড়ায় আগ্রহ তৈরি হবে, যা আলোকিত মানুষ গড়তে প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখবে।’