যেকোন সময় হতে পারেন চাকুরিচ্যুত। আর সে ভয়েই কি ডমিঙ্গো নিজ থেকেই সরে দাঁড়ালেন? এর উত্তরটা রয়ে গেছে অজানাই। কেননা বোর্ডের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট করে কিছুই জানানো হয়নি।
ডমিঙ্গোর সরে যাওয়ার পর থেকেই সবার মনে প্রশ্ন একটাই। কে হতে যাচ্ছেন ডমিঙ্গোর উত্তরসূরি। গুঞ্জনে নাম উঠে আসছে অনেকেরই।
বিসিবি চাইছে লাল ও সাদা বলের খেলার জন্য পৃথক দুই কোচ রাখতে। সেই মোতাবেক ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজনের সঙ্গে যোগাযোগও করেছে বোর্ড। যার সঙ্গেই ব্যাটে বলে মিলে যাবে তাকেই আনা হবে টাইগারদের নতুন কোচ করে।
বোর্ডের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছে নতুন কোচের দৌড়ে বোর্ডের পছন্দ তিনজন। তারা হলেন সাকিব-মুশফিকদের সাবেক কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে, সাউথ আফ্রিকার সাবেক ক্রিকেটার ল্যান্স ক্লুজনার ও অস্ট্রেলিয়ার মাইক হাসি।
বিসিবির সেই সূত্রের দেয়া তথ্য মতে, বোর্ডের চাহিদা অনুযায়ী সবদিক দিয়েই নতুন কোচ হিসেবে দায়িত্বভার বুঝে নেয়ার পাল্লাটা ভারী লঙ্কান কোচ হাথুরুসিংহের। বাকি দুইজনের চেয়ে তিনিই বেশি পছন্দ বোর্ডের।
ইতোমধ্যেই হাথুরুর সঙ্গে কথাবার্তা অনেকদূর এগিয়েছে বোর্ডের। যদিও বেতন থেকে শুরু করে সুযোগসুবিধা সবকিছুই বেশ বাড়িয়ে চেয়েছেন লঙ্কান এই কোচ। কিন্তু সেগুলো মেনে নিয়ে হলেও তাকে আনতে চায় বোর্ড।
জানা গেছে দুই পক্ষের ভেতর চলছে এখন দরকষাকষি। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে সপ্তাহ খানেকের ভেতর। আর সবকিছু ব্যাটে বলে হলেই ফের জাতীয় দলের দায়িত্ব নিতে দেখা যেতে পারে হাথুরুসিংহেকে।
পাশাপাশি বোর্ড কথা চালিয়ে যাচ্ছে ল্যান্স ক্লুজনার ও মাইক হাসির সঙ্গেও। হাসি আপাতত বাংলাদেশ দলের দায়িত্ব নিতে না চাইলেও ক্লুজনার আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানাননি এখনও।
এদিকে গুঞ্জন রয়েছে টি-টোয়েন্টি দলের কোচের ভূমিকায় দেখা যেতে পারে টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট শ্রীধরন শ্রীরামকে। যদিও এটি কেবল গুঞ্জনের ভেতরেই সীমাবদ্ধ রয়েছে।