তিনি বলেন, স্বাধীনতার মূল চেতনা-সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার আজ ভূলুণ্ঠিত। বর্তমান সরকার ভোটের নামে প্রহসন করে, ভোটকেন্দ্র দখল করে দিনের ভোট রাতে নিয়ে এবং ইভিএমের মাধ্যমে ডিজিটাল কারচুপি করে গোটা বিশ্বের সামনে বাংলাদেশকে লজ্জিত করেছে। এতে করে ক্ষমতাসীন সরকার জনবিচ্ছিন্ন একটি স্বৈর সরকারে পরিণত হয়েছে।
বুধবার (১২ জুলাই) বিকেলে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নোয়াখালী জেলা দক্ষিণের উদ্যোগে এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন ঘিরে জনমনে ব্যাপক উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। দেশে ন্যূনতম গণতান্ত্রিক পরিবেশও নেই। আগামী নির্বাচনেও যেন একচেটিয়াভাবে ক্ষমতায় আসা যায়, সরকার সে লক্ষ্যেই সব রকম পদক্ষেপ নিচ্ছে। এ অবস্থায় জাতীয় সরকার ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।
তিনি আরও বলেন, পরিস্থিতি এমন পর্যায় এসে দাঁড়িয়েছে যে, বিদেশি শক্তিগুলো বিভিন্ন ছুতায় বাংলাদেশকে নানারকম নিষেধাজ্ঞার ভয় দেখাচ্ছে। আর এটা সম্ভব হয়েছে কেবলমাত্র ক্ষমতাসীনদের বিদেশ তোষণনীতির কারণে। এমতাবস্থায় সরকার ক্ষমতায় থাকার সব বৈধতা হারিয়ে ফেলেছে।
মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা আজ চরম হুমকির মুখে উল্লেখ করে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, অর্থনৈতিক সংকট দিন দিন ঘনীভূত হচ্ছে। বৈদেশিক ঋণ বৃদ্ধি, দেশীয় ব্যাংকের তারল্য সংকট এবং ডলার সংকট ও মুদ্রাস্ফীতি অর্থনীতিকে আজ পঙ্গু করে ফেলেছে। বিদেশি আধিপত্যবাদী শক্তির অশুভ প্রভাব; স্বাধীন রাষ্ট্রের সম্মান ক্ষুণ্ন করছে। তাই সরকারের পতন এখন সময়ের দাবি।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নোয়াখালী জেলা দক্ষিণের উদ্যোগে জেলা সভাপতি মাওলানা মাহমুদুর রহমানের সভাপতিত্বে ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগ ও নির্বাচন কমিশন বাতিল, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতির প্রবর্তন, বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে সংসদ ভেঙে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচনের’ দাবিতে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এসময় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসাইন ও মাওলানা খালিদ সাইফুল্লাহ, কেন্দ্রীয় সহকারী মহাসচিব মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি শরিফুল ইসলাম রিয়াদ, নোয়াখালী উত্তর জেলা সভাপতি মাওলানা নজির আহমাদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।