নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, সকলের আন্তরিকতায় একটি সুন্দর নির্বাচন উপহার দিয়েছে জেলা পুলিশ। কোথাও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণের লক্ষ্যে কেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তায় পাঁচ শতাধিক পুলিশ সদস্য মোতায়েন ছিল
তিনি বলেন, সদর উপজেলার ৩নং নোয়ান্নই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী দিলদার হোসেন ৫০০৪ ভোট পেয়ে, ৭নং ধর্মপুর ইউনিয়নে ছিদ্দিকুর রহমান ৭৫৮৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া উপজেলার ৬নং নোয়াখালী ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইয়াসিন আরাফাত ৪৭৬৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৩টি ইউনিয়নের ৩৮টি ভোটকেন্দ্রে ইভিএমে শান্তিপূর্ণভাবে একযোগে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ৩টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৩৫ জন, সাধারণ সদস্য পদে ৯৫ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৬০ জনসহ মোট ১৯০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ধর্মপুর ইউনিয়নে ৩১ হাজার ৭৫৬ জন, নোয়ান্নই ইউনিয়নে ২৫ হাজার ৮০৯ জন ও নোয়াখালী ইউনিয়নে ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন ২৬ হাজার ৫৭৫ জন ভোটার।
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, সকলের আন্তরিকতায় একটি সুন্দর নির্বাচন উপহার দিয়েছে জেলা পুলিশ। কোথাও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণের লক্ষ্যে কেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তায় পাঁচ শতাধিক পুলিশ সদস্য মোতায়েন ছিল। এছাড়া আনসার বাহিনী, র্যাব এবং বিজিবি সদস্যরা একযোগে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত ছিল।
জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ হয়েছে। নির্বাচনে কোনো প্রকার অনিয়ম হয়নি। কেন্দ্রের ভেতরে ও বাইরে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে ছিল। জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেট ছাড়াও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েন ছিল।