নিজস্ব প্রতিনিধি : নোয়াখালীর কবিরহাটের ঘোষবাগে আদালতে চলমান মামলার বিচার কার্যের কোন ধরনের তোয়াক্কা না করে অন্যায়, অবৈধ ও জোরপূর্বক হতদরিদ্র্য সাহাবুদ্দিনের সহায় সম্পত্তি জবরদখলের চেষ্টার অভিযোগ ওঠেছে।
সরেজমিনে রামবল্লবপুর গেলে সাহাবুদ্দিন ও স্থানীয়রা জানান, এলাকার আজিজুল হক ওই জমির প্রকৃত মালিক না থাকার পরেও অর্থ ও বিভিন্ন প্রভাব প্রতিপত্তির ওপর ভর করে দরিদ্র্য সাহাবুৃদ্দিনের প্রায় সাড়ে ষোল শতক ভূমি জবরদখলের চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। সাহাবুদ্দিন জানান, আজিজুল হক কতেক ভুয়া ও বানোয়াট দলিল সৃজন করে তার মালিকানাধীন এসব সহায় সম্পত্তি জবর দখলের চেষ্টা করছেন।
সাহাবুদ্দিন অভিযোগ করেন, আজিজুল হক কোনভাবেই এসব জমির মালিকানায় স্বত্ববান নয়। এ বিষয়ে হতদরিদ্র্য সাহাবুদ্দিন প্রতিকার চেয়ে নোয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। আদালত মামলাটির অভিযোগের সার্বিক সরেজমিনে তদন্ত করে উপজেলার সহকারী ভূমি কমিশনারকে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশনা প্রদান করেন।
এদিকে, কবিরহাট উপজেলার ভূমি কমিশনার ব্যস্ততার কারণে ঘটনাস্থলে না গেলেও উপজেলার কানুনগো ওই এলাকায় মাঠ পরিদর্শনে গেছেন বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে সাহাবুদ্দিন অভিযোগ করেন, ওইদিন তার পরম এক আত্মীয়ের মৃত্যূর কারণে তিনি ঘটনাস্থলে সার্বক্ষণিকভাবে উপস্থিত থাকতে পারেননি। যে কারণে আজিজুল হক অন্যায় ও একতরফাভাবে তার মনোনীত কিছু লোককে মাঠে তার পক্ষে সাফাই স্বাক্ষ্য সাজান। পরবর্তীতে, সাহাবুদ্দিন কানুনগোর সাথে দেখা করলে কানুনগো কোন কিছু বুঝার আগেই কিছু সাদা কাগজে তার সই স্বাক্ষর নেন বলেও জানান সাহাবুদ্দিন। তিনি অভিযোগ করেন, কানুনগো মাঠ থেকে আসার পর আজিজুল হক বিবাদমান ওই জমিতে জোরপূর্বক ঘর দালান করে জবর দখলের কাজ এগিয়ে নিচ্ছে। সাহাবুৃদ্দিন জানান, তিনি পৈত্রিক সূত্র ছাড়া বেশ কিছু জায়গা তার বাবার কাছ থেকে খরিদ করেছেন। সাহাবুদ্দিন তার মা বদরের নেছা ও নানী খাইরুন নেছার সম্পত্তিতে তার খরিদীয় মালিকানার স্বপক্ষে দলিল দস্তাবেজ তুলে ধরেন।
অবশ্য আজিজুল হক এসব সম্পত্তি নিজের বলে দাবি করলেও সাংবাদিকদের কাছে বিবাদমান সম্পত্তির মালিকানার পক্ষে সঠিক কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।
সাংবাদিকেরা সরেজমিনে গেলে এ সময় মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের প্রতিনিধি পরিচয়ে এক ব্যক্তি মুঠোফোনে ঘটনাস্থলে আসা সাংবাদিকদের বিস্তারিত পরিচয় জানতে চান। একপর্যায়ে, আজিজুল হক সাংবাদিকদের সাথে ওই ব্যক্তিকে মুঠোফোনে ধরিয়ে দেন।
সাহাবুদ্দিন অভিযোগ করেন, তারাও মন্ত্রীর লোক। কিন্তু মন্ত্রীর প্রতিনিধি পরিচয়ে ওই ব্যক্তি থানা ও উপজেলা প্রশাসনসহ সর্বত্র তাদের বিরুদ্ধে কাজ করছেন। এতে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ারও অভিযোগ করেন।
একইসাথে ওই ব্যক্তির পক্ষপাতিত্বমূলক এসব তদবিরের ঘটনায় মন্ত্রীর ভাবমূর্তিও বিনষ্ট হওয়ার অভিযোগ করেন তারা।
এবিষয়ে কবিরহাট উপজেলার ভুমি সহকারী কমিশনার অমৃত দেবনাথ বলেন, তিনি ওইদিন কবিরহাট ছিলেননা। হয়তোবা তার কানুনগো গেছেন। বিস্তারিত জেনে পরে জানানো যাবে বলে জানান তিনি।