• শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
কাদের মির্জার নিপীড়নের শিকার বিএনপি-জামায়াত-আওয়ামী লীগও জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে টিকা বিষয়ক সেমিনার ডিজেল জেনারেটর নাকি গ্যাসোলিন জেনারেটর কোনটি ব্যবহার করা উচিৎ নোয়াখালী বিএডিসিতে তথ্য চাইতে গেলে দুই সাংবাদিকের উপর হামলা গণপূর্ত বিভাগের বন্দোবস্তের পাঁচগুণ জায়গা অবৈধভাবে দখল নোয়াখালীতে ভুল চিকিৎসায় নবজাতকসহ প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ নোয়াখালীতে  প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন  ১০ম গ্রেড সহকারীদের শুধু দাবী নয় এটা তাদের নূন্যতম অধিকার নোয়াখালীতে স্ত্রীকে জবাই করে হত্যা,স্বামী আটক টানা বৃষ্টিতে নোয়াখালীতে আবার বন্যার আশঙ্কা

নোয়াখালীতে বিএনপির জনসমাবেশে সাংবাদিক লাঞ্চিত

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : শনিবার, ২৭ মে, ২০২৩

জেলা প্রতিনিধি>
নোয়াখালীতে বিএনপির জনসমাবেশ চলাকালে দলটির কয়েকজন নেতাকর্মী কর্মরত সংবাদকর্মীদের সঙ্গে অশোভন আচরণ ও শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করেছে। তাদের মধ্যে তিনজনকে শনাক্ত করেছেন ভুক্তভোগী সংবাদকর্মীরা।

শনিবার (২৭ মে) বিকেলে জেলা শহর মাইজদী শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিপলকের সামনে অনুষ্ঠিত জনসভায় প্রধান অতিথি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বক্তব্য চলাকালে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী সংবাদকর্মীরা বলেন, জনসভার মঞ্চের সামনে সাংবাদিকদের জন্য জায়গা রাখলেও নেতাকর্মীদের কারনে সেখানে দাঁড়াতে পারেনি সংবাদকর্মীরা। প্রধান অতিথির বক্তব্য দেওয়ার আগ মুহুর্তে সংবাদকর্মীদের সাথে ধাক্কা ধাক্কি শুরু করে বিএনপির নেতাকর্মীরা। এসময় ছবি ও ভিডিও নিতে সমস্যা হওয়ায় নেতাকর্মীদের ক্যামেরা থেকে সরে দাঁড়ানোর অনুরোধ করলে তারা উপস্থিত সংবাদকর্মীদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়। সংবাদকর্মীদের আওয়ামী লীগ সরকারের দালাল বলে তাদের দিকে তেড়ে আসে, শারীরিকভাবে লাঞ্চিত ও ক্যামেরা কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।

খবর নিয়ে জানা গেছে, বিএনপির কেন্দ্রীয় মিডিয়া সেল আয়াত উল্ল্যাহ খমিনি, কবিরহাট উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব ইয়াছিন ফরহাদ ও ছাত্রদল কর্মী সুমন উপস্থিত সংবাদকর্মীদের লাঞ্চিত করার ছবি ভিডিও ভুক্তভোগী সংবাদকর্মীদের কাছে রয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুর রহমান বলেন, এমন ঘটনা কারো প্রত্যাশিত না। বিষয়টির জন্য আমরা লজ্জিত। জড়িতদের চিহিৃত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস-চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে আমরা জেলার নেতাদের সঙ্গে বসেছি। খারাপ আচরণ যারা করেছে তাদের তলব করা হয়েছে, এদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, উচ্চ আদালতের নির্দেশনাকে অধীনস্থ আদালত ও সরকারের অবজ্ঞা, গায়েবি মামলায় নির্বিচারে গ্রেফতার, মিথ্যা মামলা, পুলিশি হয়রানি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, বিদ্যুতের লোডশেডিং এবং আওয়ামী লীগের সর্বগ্রাসী দুর্নীতির প্রতিবাদসহ ১০ দফা দাবি বাস্তবায়নের দাবিতে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিপলকের সামনে বিএনপির জনসভা অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম হায়দার বিএসসির সভাপতিত্বে জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুর রহমানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্যাহ বুলু, মো. শাহজাহান, বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবেদিন ফারুক, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দিন মজুমদার।

এছাড়াও জনসভায় জেলা, উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এরআগে দুপুর থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সভাস্থলে একত্রিত হতে থাকে দলটির নেতাকর্মীরা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ
No comments to show.