প্রতিবেদকঃ
নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদী হসপিটাল রোডে অবস্থিত মুন হসপিটাল সরকারি কোনো প্রকার নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে কর্তৃপক্ষের ইচ্ছেমত নিয়মে চলছে হসপিটালটি।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০২০ সালে হসপিটালটি নিবন্ধনের পর গত তিন বছর লাইসেন্স নবায়ন করা হয়নি। নিবন্ধনের সময় যেই ৬ জন ডিউটি ডাক্তারের তালিকা দেয়া হয়েছে তাদের কোন অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি হসপিটালেএবং নিবন্ধনের সময় ডাক্তারের যে মোবাইল নাম্বার দেয়া ছিল সেটিও হসপিটাল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালকের মোবাইল নাম্বার।
এদিকে একদিনের নবজাতককে আটকে স্বজনদের মারধর করার অভিযোগ উঠেছে এই হাসপাতালের লোকজনের বিরুদ্ধে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ৪ ফেব্রুয়ারি সকালে সেনবাগের মতিরহাট এলাকার মিশুক চালক মো. রাসেলের স্ত্রী বিলকিস একটি ছেলেসন্তান প্রসব করেন। দুপুরে অসুস্থ শিশুটিকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সন্ধ্যায় ডাক্তার দেখাতে তাদের মুন হাসপাতালে পাঠায় দালাল চক্র।
নবজাতকের মামা মো. মাসুদ বলেন, ‘মুন হাসপাতালে গিয়ে ডাক্তার না পেয়ে আমরা চলে আসতে চাইলে হাসপাতালের লোকজন বাধা দেন। একপর্যায়ে তারা শিশুকে আটক করে সেখানে ভর্তি করতে চাপ দিতে থাকেন। আমরা এতে রাজি না হওয়ায় হাসপাতালের স্টাফ রাজুর নেতৃত্বে আমাদের ওপর হামলা করা হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাকে তারা চড়-থাপ্পড় ও লাথি মেরে আহত করেছেন। আমার পকেট থেকে ১৩ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়েছেন। সুধারাম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আল-মামুন এসে আমাকে উদ্ধার না করলে আমাকে আরও মারধর করা হতো।’
সুধারাম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আল-মামুন
জানান, খবর পেয়ে মুন হাসপাতালে গিয়ে রোগী ও তার স্বজনদের উদ্ধার করা হয়েছে। তারা হামলা ও মারধরের অভিযোগ করেন। তাদের লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে মুন হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সাঈদ ইকবাল বলেন, ‘ডাক্তার আসতে দেরি হওয়ায় রোগীর স্বজনদের সঙ্গে হাসপাতালের স্টাফদের ভুল বোঝাবুঝি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে বিষয়টি মীমাংসা করা হয়েছে।’
নোয়াখালী সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার বলেন, এসব বিষয় নিয়ে হাসপাতালটিতে তদন্ত টিম কাজ করছ। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে তারই আলোকে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব হাসপাতালটির বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।(চলবে)