রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ধাক্কায় বিশ্ব অর্থনীতি টালমাটালের সময় রফতানিতে রেকর্ড আয় করেছেন রফতানিকারকরা। সদ্য বিদায়ী বছরের নভেম্বর মাসের পর ডিসেম্বরেও পণ্য রফতানি থেকে ৫ বিলিয়ন (৫০০ কোটি) ডলারের বেশি বিদেশি মুদ্রা দেশে এনেছেন তারা।
রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সোমবার (২ জানুয়ারি) রফতানি আয়ের হালনাগাদ তথ্যে এ কথা জানিয়েছে।
হালনাগাদ তথ্য দেখা যায়, সদ্য শেষ হওয়া বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে পণ্য রফতানি থেকে মোট ৫৩৬ কোটি ৫২ লাখ (৫ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন) ডলার আয় করেছেন বিভিন্ন খাতের রফতানিকারকরা।
দেশের ইতিহাসে এর আগে কখনই এক মাসে পণ্য রফতানি থেকে এতো বেশি বিদেশি মুদ্রা দেশে আসেনি। আগের মাসে নভেম্বরে এসেছিল ৫ দশমিক শূন্য নয় বিলিয়ন ডলার। যা ছিল এক মাসের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রফতানি আয়। এর আগে কখনই কোনো মাসে পণ্য রফতানি থেকে আয় ৫ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেনি।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ধাক্কায় বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ দেশে দেশে মুল্যস্ফীতি পারদ চড়ছে। মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। নতুন বছরে মন্দা নেমে আসবে বলে পূর্বাভাস দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক-আইএমএফসহ বিভিন্ন সংস্থা।
তছনছ হয়ে যাওয়া এই বিশ্ববাজারে রফতানি আয়ে রেকর্ডের পর রেকর্ডে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন অর্থনীতিবিদ ও রফতানিকারকরা। তারা বলছেন, রফতানি আয়ের এই উল্লম্ফনের উপর ভর করেই ঘুরে দাঁড়াবে বাংলাদেশের অর্থনীতি।
ইপিবির তথ্যে দেখা যায়, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের ষষ্ঠ মাস আর বিদায়ী ২০২২ সালের শেষ মাস ডিসেম্বরে পণ্য রফতানি থেকে ৫৩৬ কোটি ৫২ লাখ (৫.৩৬ বিলিয়ন) ডলার দেশে এসেছে। এই অঙ্ক গত বছরের ডিসেম্বরের চেয়ে ৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ বেশি।
আর ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর তৈরি পোশাকসহ অন্যান্য পণ্য রপ্তানি করে মোট ২৭ দশমিক ৩১ বিলয়ন ডলার আয় করেছে বাংলাদেশ। যা গত ২০২১-২২ অর্থবছরের চেয়ে ১০ দশমিক ৫৬ শতাংশ বেশি।
এই আয়ের মধ্যে ২৩ বিলিয়ন ডলার বা ৯২ শতাংশই এসেছে তৈরি পোশাক খাত থেকে। এই ছয় মাসে এই খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ।