নয়া সকাল প্রতিবেদক :
এমন মানুষ আজকের সমাজে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর, যার মুখে লেগেই থাকে সব সময় এক চিলতে মিষ্টি হাসি। দেখা হলেই কথা বলার ঢঙ্গে মনে দোল খেতে শুরু করে ভালো লাগার সুবাতাস।জানিনা তার মনে কোন কষ্ট আছে কিনা ? তবে দীর্ঘদিনের পরিচয়ে এটুকুই স্পষ্ট বুঝতে পেরেছি তিনি মনে প্রাণে একজন সুখী মানুষ। বলছিলাম সেলুন পাঠাগারওয়ালা নামে খ্যাত জনপ্রিয় ও জননন্দিত কবি গোলাম মাওলা জসিমের কথা, বাংলাদেশের মধ্যে যদি ব্যতিক্রমধর্মী ধারাবাহিক সৃজনশীল উদ্যোগগুলোর তালিকা তৈরি করা হয় তন্মধ্যে এই মানুষটির নাম ও তার কাজের বিবরণী উল্লেখ না করলে তালিকা পরিপূর্ণতা পাবেনা।
আমি এই মানুষটির চিন্তাধারা ও মনন খুবই কাছের থেকে উপলব্ধি করতে পেরেছি।আপাদমস্তক সাংস্কৃতিক ধ্যান ধারণা যার মধ্যে বিরাজমান, ভাবে দেশ ও জাতির এবং বিশ্ববাসীর জন্য।তার জন্য তিনি সম্পূর্ণ নিজের।
ব্যক্তিগত অর্থে, অনেক কষ্ঠের পরিশ্রমের টাকা দিয়ে প্রতিষ্ঠা করেছেন “সেলুন পাঠাগার বিশ্বজুড়ে “। ইতোমধ্যে তিনি বাংলাদেশের অনেকগুলো নরসুন্দরদের দোকানে “সেলুন পাঠাগার বিশ্বজুড়ে “র সৌজন্য এ বুক সেলফ স্থাপন করছেন। যা অব্যাহত রয়েছে।সেই সৃজনশীল মানুষটির জন্মদিনে তাই দু চারটি লাইন সংক্ষেপে লিখে তার প্রতি জন্মদিনের শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা জানাতে পারলে নিজের কাছে শান্তি অনুভব হয়।
যতই দিন যাচ্ছে বাংলাদেশের মানুষ বই পড়ার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। বই মানে একজন খুবই ভালো বন্ধু এই ব্যাপারটা তাঁরা দিনদিন ভুলেই যাচ্ছে। সেলুনে চুল কাটতে এসে কাস্টমাররা ঘণ্টার পর ঘন্টা অপেক্ষায় থাকে। কেমন যেনো একটা বিরক্তি কাজ করে সবার মধ্যে। মনে হয় যদি কিছু একটা থাকতো তাহলে ওটা করে অপেক্ষার সময়টা কটিয়ে দেওয়া যেতো। আর তাই কাস্টমারদের এই চিন্তা দূর করতে এবং মানুষকে বই পড়ার প্রতি আগ্রহ বাড়াতে এই উদ্যোগ।
আমরা চাই সারা বাংলাদেশ আপনার এই মহামূল্যবান উদ্যেগের সম্পর্কে জানুক এবং বইয়ের প্রতি বন্ধুত্ব তৈরি করুক।প্রিয় কবি ও ভাইয়ের জন্মদিনের এই হউক প্রত্যাশা।