ভালোবেসেই বিয়ে করেছিলেন পরীমনি ও রাজ। শপথ নিয়েছিলেন, যতো ঝড় আসুক একে অপরকে ছেড়ে যাবেন না কখনও। তাদের সেই ভালোবাসার কথা প্রকাশ হয় গণমাধ্যমে। সেসব লেখা পড়ে মুখ টিপে হাসেন নেটিজেনরা। কারণ তারা ধরেই নিয়েছিলেন, তারকাদের সম্পর্ক তাসের ঘর। ভেঙে যেতে সময় লাগে না। তা ছাড়া পরীমনির অতীত ইতিহাসও ভালো নয়।
যদিও নিন্দুকের কথায় কান দেননি পরীমনি-রাজ। প্রতিনিয়ত সামাজিক মাধ্যমে ভালোবাসার মুহূর্তের ছবি প্রকাশ করে বোঝাতে চেয়েছেন, তাদের এই ভালোবাসা অনন্তকাল চলবে।
কিন্তু বছর বিয়ের বছর না ঘুরতেই বিচ্ছেদের পথে হাঁটছেন পরীমনি। ফেসবুকে জানিয়েছেন, রাজকে তিনি ছুটি দিয়েছেন। শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা ৪০ মিনিটে নায়িকা লিখেছেন, হ্যাপি থার্টি ফার্স্ট এভরিওয়ান! আমি আজ রাজকে আমার জীবন থেকে ছুটি দিয়ে দিলাম এবং নিজেকেও মুক্ত করলাম একটা অসুস্থ সম্পর্ক থেকে। জীবনে সুস্থ হয়ে বেঁচে থাকার থেকে জরুরি আর কিছুই নাই।
পরীমনি এই ‘ছুটি’ শব্দটাকে আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদ বুঝিয়েছেন কি না—সেটা স্পষ্ট করেননি। তাই তাদের বিচ্ছেদ হয়েছে, এমনটা বলা যাচ্ছিল না। পরে একটি গণমাধ্যমে তিনি জানিয়েছেন, এখনও তাদের বিচ্ছেদ হয়নি।
পরীমনি বলেন, এখনও বিচ্ছেদ হয়নি। তবে আমি সম্পর্ক ছিন্ন করে রাজের বাসা থেকে বেরিয়ে এসেছি। আজ থেকে আমরা আলাদা হয়ে গেলাম। শিগগিরই বিচ্ছেদের চিঠি পাঠিয়ে দেব।
আলাদা হয়ে যাওয়ার ব্যাপারে তার আরও বক্তব্য, বেশ কিছুদিন ধরেই সমস্যা হচ্ছিল। সমস্যা কাটিয়ে সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে একসঙ্গে থাকার চেষ্টা করেছি, পারলাম না। তার আচার-আচরণ একসঙ্গে থাকার পরিস্থিতি নাই। তাই বাধ্য হয়ে বাসা ছেড়ে আলাদা হয়ে গেলাম। আমার মনমানসিকতা এখন ভালো নাই, এর বেশি আর কিছু বলতে পারছি না।
গত বছরের ১৭ অক্টোবর গোপনে একে অপরকে জীবনসঙ্গী হিসেবে বিয়ে করেন পরীমনি ও রাজ। তবে খবরটি প্রকাশ্যে এনেছেন এ বছরের ১০ জানুয়ারি। একই দিন আরও ঘোষণা করেন, সন্তান আসছে তাদের ঘরে। এরপর ২২ জানুয়ারি পারিবারিক আয়োজনে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতাও করেন তারা। চলতি বছরের ১০ আগস্ট পরীমনির কোলজুড়ে আসে রাজ্য।