২০১৫ সালের ২০ এপ্রিল বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলা করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। চিত্রনায়ক জায়েদ খান, অভিনেতা শাহরিয়ার নাজিম জয় ও সাজু খাদেমসহ ৫০ জনকে আসামি করে এই মামলা করা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্তরা নিশ্চুপ থাকলেও কথা বলেছেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। তিনি জানান, স্টেজ শোতে অংশ নিতে বর্তমানে তিনি কানাডায় অবস্থান করছেন। ইতিমধ্যে মামলার বিষয়টি তার নজরেও এসেছে। তার দবি, এই মামলা পুরোপুরি ভিত্তিহীন ও হয়রানি ছাড়া আর কিছুই না।
জায়েদ খান বলেন, ‘যে মামলায় আমাকে আসামি করা হয়েছে তা পুরোপুরি মিথ্যা মামলা। যার কোনা ভিত্তিই নাই। আমি একজন শিল্পী। বাংলাদেশকে ভালোবাসি, দেশের মানুষকেও ভালোবাসি। হতে পারে আমি একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলে বিশ্বাসী। এ জন্য তো যে কেউ মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে হয়রানি করতে পারে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘অন্য সবার মতো আমারও মত-বিশ্বাসে ভিন্নতা থাকতে পারে। তবে এটুকু বিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারি—আমি কোনো রাষ্ট্রবিরোধী কাজের সঙ্গে জড়িত ছিলাম না, আর আগামীতেও থাকব না। আমি সবসময় চেষ্টা করেছি, মানুষের উপকার করতে; সবার পাশে থাকতে। কখনো কারও ক্ষতি করিনি। একজন শিল্পী হিসেবে সবসময় ন্যায়ের কথা বলেছি। সেই আমাকেই মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে!’
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে এই চিত্রনায়ক বলেন, ‘ছাত্র-জনতার আন্দোলনের প্রায় মাসখানেক আগে থেকেই আমি অস্ট্রেলিয়া, কানাডা ও আমেরিকায় শো নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। বিভিন্ন স্টেজ শোতে মানুষকে বিনোদিত করেছি। একজন বিনোদনকর্মী হিসেবে এটাই তো আমাদের কাজ। আমিও সেটাই করেছি।’
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অনুরোধ জানিয়ে জায়েদ খান বলেন, ‘ছাত্রদের নিয়ে দেশ সংস্কারের কাজ করছেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাহেব। আমার বিশ্বাস, উনি এসব ভিত্তিহীন মামলার বিষয়টি দেখবেন। আমার নামে তো রাষ্ট্র বা রাষ্ট্রের কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান মামলা করেনি। কে করেছে, তাকে আমি বা আমরা কেউ চিনি না। এমন অপরিচিত একজন মিথ্যা অভিযোগ নিয়ে মামলা করে দেবেন আর অমনি তা সত্য হয়ে যাবে, এটা আশা করি না।’
প্রসঙ্গত, ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকী-আল-ফারাবীর আদালতে রোববার (২৫ আগস্ট) ব্যান্ড শিল্পী আসিফ ইমাম বাদী হয়ে মামলাটির আবেদন করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে অভিযোগটি মতিঝিল থানা-পুলিশকে এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন।