নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়ে বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে সদর থানার অশ্বদিয়া ইউনিয়নের একটি পরিবার। জানা যায়, বাদীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলায় অভিযুক্তরা কোর্ট থেকে জামিনে এসে তার বসত ঘরে হামলা,ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।
ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল রাতে নোয়াখালী সদর উপজেলার অশ্বদিয়া ইউপির ডলার নাছিরের বাড়িতে।
ভুক্তভোগী ডলার নাছির অভিযোগ করেন, রাত ৮টার দিকে অশ্বদিয়া ইউনিয়নের যুবদলের সদস্য সন্ত্রাসী শাহরিয়ার মামুন( ৩৪)ও ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন সাগর(২৫)’র নেতৃত্বে ১৫ থেকে ২০ জনের একটি গ্রুপ ডলার নাসির উদ্দীনের বাড়িতে হামলা চালায়। হামলায় হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে বসত ঘরের মূল দরজা ভাঙ্গার চেষ্টা চালায়।হত্যার উদ্দেশ্য এই হামলা চালায় বলে জানান ডলার নাসির। হামলায় বাড়ির জানালার একটি কপাট ভেঙে ফেলে এবং বসত ঘরে আগুন নিক্ষেপ করে।
এতে বাড়ির কেউ হতাহত না হলেও নারী ও শিশুদের মধ্যে ভীতির সঞ্চার করে। এসময় তারা শোরচিৎকার করলে স্হানীয় এলাকাবাসী এগিয়ে আসে।গ্রামবাসীকে এগিয়ে আসতে দেখে সন্ত্রাসীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে ।এসময় তাদের গুম হত্যার হুমকি দেয় বলে ভুক্তভোগী জানান। হামলাকারীর মধ্যে ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য আবু জাহের,সদস্য সচিব আলিফ খান ও বিএনপির সমর্থক রবিন ও ছিল।
স্হানীয় ইউপি সদস্য মোঃ জসিমকে হামলার বিষয় সত্যাতা নিশ্চিত করে বলেন,আমরা তাদের কাছে অসহায়।এই বিষয়ে যা করার প্রশাসন করবে আমাদের করার কিছু নাই।
১০ নং অশ্বদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন বাবলু বলেন,হামলার বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।এর দুই দিন আগে পরিবারটির পিতা মারা যাওয়ায় এমনিতে শোকাহত তার উপর বসতবাড়িতে হামলা।যেটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়ার মতো নয়।সুধারাম মডেল থানার এস আই মোঃ সোহেল মাহমুদের কাছে হামলার বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন এ বিষয়ে তদন্ত হচ্ছে। এর বেশি কিছু বলতে রাজি হননি।
এর আগে গত ৩ ফেব্রুয়ারি ডলার নাসির উদ্দীনকে ডাক্তার হাট তার ব্যবসায়ীক কার্যালয়ে উক্ত সন্ত্রাসী চক্র হামলা চালায়।সেই হামলায় বিষয় উল্লেখ করে ৫ ফেব্রুয়ারিতে সুধারাম থানায় একটি মামলা হলে সুধারাম থানার পুলিশ আসামীদের গ্রেফতার করে কোর্টে পাঠায়।কোর্ট থেকে জামিনে বেরিয়ে এসে দ্বিতীয় দফায় তার বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন স্হানীয় এলাকাবাসী জানান,এই বিএনপি সন্ত্রাসী চক্রটিকে ক্ষমতাসীন দলের সমর্থক একজন নেতা মদদ যোগাচ্ছে।তদন্ত হলে আসল সত্যটি বেরিয়ে আসবে বলে জানান।
সুধরাম মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর জাহিদ হোসেন রনি অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্হা গ্রহন করা হবে।