নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় নোয়াখালী ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতালের অধিনস্ত ডক্টর চেম্বার উদ্ভোদন করা হয়েছে। চক্ষু রোগীদের সাধ্যের মধ্যে সঠিক চিকিৎসা প্রদানে ‘প্রতিযোগিতা নয়, সেবাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য’ এ স্লোগান ধারণ করে এ প্রতিষ্ঠানের পথচলা।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) বিকেল ৩ টায় বসুরহাট পৌরসভা বাইপাস সড়কে নাছির টাওয়ারের ২য় তলায় ফিতা কেটে এটি উদ্বোধন করেন বসুরহাট পৌর মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা।
নোয়াখালী ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতালের পরিচালক এ আর আজাদ সোহেল’র সভাপতিত্বে এ সময় অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, বসুরহাট পৌরসভার প্যানেল মেয়র নূর হোসেন ফরহাদ,
নোয়াখালী ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আবুল হোসেনসহ চক্ষু বিশেষঞ্জ ডাক্তার,চোখের চিকিৎসা নিতে আসা রোগী সাধারন,স্থানীয় এলাকাবাসী।
উদ্বোধন উপলক্ষে হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাঃ সাইফ মোহাম্মদ ফাহাদ এমবিবিএস, আর ইউ, পিজি এটি, অপথালমোলজি, সিএম ইউ, সিসিডি( বার্ডেম) ঢাকা, পিজি টি অর্থো সার্জারী ও চক্ষু সিনিয়র মেডিকেল অফিসার নোয়াখালী ‘ডক্টর চেম্বার’ ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতাল, বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার চোখের পাওয়ার ও ছানি পরিক্ষা করেন।
প্রতিষ্ঠানের পরিচালক সোহেল জানান,এ অঞ্চলের মানুষ চোখের সমস্যা নিয়ে কষ্ট স্বীকার করে মাইজদী, চৌমুহনী,ফেনী সহ দুরদরান্তে যান। তাদের কস্ট লাগব করতে এবং চক্ষু রোগীদের সঠিক চিকিৎসা প্রদানে আমাদের এ উদ্যোগ।
এ অঞ্চলের মানুষদের আর টাকা -পয়সা খরচ ও কষ্ট করে ঢাকা-চট্টগ্রাম যেতে হবে না। চোখের ওপর সর্ব্বোচ্চ ডিগ্রী প্রাপ্ত ডাক্তার ডা: মামুনুর রহমান এমবিবিএস, এফসিপিএস,এমসিপিএস,এফআরসিএস,( চক্ষু গ্লোসা ইউ কে) আমরা মানুষকে চিকিৎসা সেবা দিতে এ অঞ্চলে নিয়ে এসেছি। তিনি প্রতিসপ্তাহে বৃহস্পতিবার চেম্বারে রোগী দেখবেন। কারন সেবার মান শতভাগ নিশ্চিত করতে আমরা বদ্ধ পরিকার। একই কথা জানিয়েছেন হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল হোসেন তিনি বলেন, স্বল্প খরচে আমরা এ এলাকায় মানুষের ভালো চিকিৎসা দিয়ে যাবো। প্রতিযোগিতা নয়, সেবা আমাদের মূল উদ্দেশ্য। কোন রোগী যদি টাকার অভাবে চিকিৎসা করতে না পারে আমার সাথে যোগাযোগ করলে আমরা বিনামূল্য চিকিৎসা প্রদান করবো।
এদিকে রোগীদের চিকিৎসা দিতে অধ্যাপক ডা: মামুনুর রহমান এমবিবিএস,এফসিপিএস,এমসিপিএস,এফআরসিএস,( চক্ষু গ্লোসা ইউ কে) চেম্বার করবেন।
উদ্ভোধনী দিনে সকল চক্ষু রোগীদের জন্য সম্পুর্ণ বিনামুল্যে চক্ষু চিকিৎসা প্রদান করা হয়। দিনব্যাপী বিভিন্ন স্থান থেকে প্রায় ২শত জন রোগীর বিনামূল্যে চোখের নানাবিধ চিকিৎসা পত্র গ্রহন করেন।