নয়া সকাল প্রতিবেদক:
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে তা পূরণ করে ১ দিন পর জমা দিলেন দলটির কৃষি ও সমবায় বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপÑকমিটি সদস্য এবং নোয়াখালী জেলা আওয়ামীলীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক, সাবেক ছাত্রলীগের সভাপতি ও দৈনিক ভুলুয়ার প্রকাশক ও সম্পাদক আলহাজ কাজী এ বি এম শাহজাহান শাহীন ।
রোববার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে ( ২০ নভেম্বর )সকালে ফরমের সকল শর্তাবলী পূরণ করে প্রানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক প্রধান কার্যালয়ে জমা দিয়েছেন।
নোয়াখালী -৪ (সদর Ñসুর্বণচর) আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন প্রত্যাশী জনপ্রিয় আওয়ামী লীগ নেতা কাজী শাহজাহান শাহীন ।
এ সময় তার ২ ছেলে শাহ আবিদ এলাহী , শায়খ ইব্রাহীমসহ আওয়ামী লীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহের পর নোয়াখালী -৪ আসন (সদর সুর্বণচর) নির্বাচনী এলাকার মানুষের কাছে দোয়া ও সমর্থন প্রত্যাশা করেন কাজী শাহজাহান শাহীন । পাশাপাশি আসন্ন সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী -৪ আসনে নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করতে সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীকে মাঠে ময়দানে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
উল্লেখ্য,নোয়খালী জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাবেক সফল সভাপতি মরহুম আলহাজ কোহিনূর আক্তার খানমের সুযোগ্য সন্তান, নোয়াখালী -৪ আসনের তুমুল জনপ্রিয় আওয়ামী লীগ নেতা কাজী শাহজাহান শাহীন সরকারের নানা উন্নয়ন কর্মকা- ও দলীয় কার্যক্রমে অংশগ্রহণসহ প্রচারে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
৯০ দশকের রাজপথের লড়াকু সৈনিক শিক্ষা অনুরাগী, বিশিষ্ট সমাজসেবক, একজন সমাজহিতৈষী আলহাজ এডভোকেট কাজী এ বি এম শাহজাহান শাহীন দীর্ঘদীন ধরে সামাজিক, রাজনৈতিক ও জনসেবামূলক কর্মকান্ড চালিয়ে আসছেন। একজন সফল আইনজীবি হিসেবেও তার যথেষ্ট সুনাম রয়েছে নোয়াখালী জজ আদালত ও সুপ্রীম কোর্ট আঙ্গীনায়। তিনি নোয়াখালীর বিশেষ দায়রা জজ আদালতের একজন সাবেক সফল পিপি, বর্তমানে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টেও তার সফলতা অনস্বীকার্য। আইনজীবি কাজী এ বি এম শাহজাহান শাহীনের দারস্ত হয়ে তার পরামর্শে উপকৃত হয়নি, এমন লোকের সংখ্যা নিতান্তই হাতে গোনা। শাহজাহান শাহীন এম এ সাত্তার উচ্চ বিদ্যালয়ের একাধারে ৬ বারের নির্বাাচিত সভাপতি। এছাড়া তিনি নোয়াখালীর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি। একজন সফল পেশাজীবি হিসেবে আলহাজ এডভোকেট কাজী এ বি এম শাহীনের পরিচিতি সর্বজন বিধিত।
জীবন সংগ্রামে সুপ্রতিষ্ঠা করেছেন একাধিক শিক্ষা, সামাজিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। সরেজমিনে গেলে স্থানীয়রা জানান, সিও সাহেবের মোড়ের বাইতুল আমান জামে মসজিদটি তিনি পিতার আদর্শিক চেতনা ধরে রাখার মানসে এককভাবে প্রতিষ্ঠা করেছেন। এছাড়া পিতার নামে আলহাজ আনোয়ার উল্যাহ নুরানী মাদরাসা ও আলহাজ কাজী এ বি এম শাহজাহান শাহীন পাঠাগার প্রতিষ্ঠায়ও এলাকায় সুনাম অর্জন করেছেন তিনি।
মানবতার সুরক্ষা ও সমুন্নত সার্বিক সমাজকল্যানের খাতায়ও রয়েছে তার নাম। প্রতিষ্ঠা করেছেন একটি বেসরকারি সমাজকল্যান সংগঠনও। তিনি সমাজকল্যান মন্ত্রনালয়ের অধীনস্থ শহর সমাজসেবা সমন্বয় পরিষদেরও একাধারে একাধিকবার নির্বাচিত সাবেক সভাপতি ছিলেন। ভালো কাজের স্বীকৃতিস্বরুপ ইতিমধ্যে জেলা সমাজসেবা কার্যালয় হতে লাভ করেছেন সম্মাননা স্বারকও।
তার ২ ছেলে শাহ আবিদ এলাহী , শায়খ ইব্রাহীম এ প্রতিবেদককে বলেন, আপনারা জানেন ৯০ই এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে ছাত্র নেতা হিসাবে নোয়াখালী জেলার মধ্যে কার ভূমিকা কতটা ছিলো এবং ১৯৯৬ এর তৎকালীন ২ মাসের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার অবৈধ সরকারকে হঠাতে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে বাবার ভূমিকা আজও দলীয় নেতকর্মীরা উল্লেখ করে, বলে।
আমার দাদা মরহুম কাজী এ কে এম আনোয়ার উল্লাহ ্(সিও সাহেব) যিনি ছিলেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, যাকে কিনা শুধুমাত্র আওয়ামীলীগের স্বপক্ষের লোক ছিলেন দেখেই সরকারী চাকুরীর মেয়াদ থাকা সত্ত্বেও চাকুরী থেকে অবসরে যেতে বাধ্য করে ছিলো তৎকালীন বিএনপি সরকার, আমার দাদী কোহিনুর আক্তার খানম বীর মুক্তিযোদ্ধা যিনি ছিলেন নোয়খালী জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের একজন সফল সভানেত্রী, আওয়ামীলীগের জন্য সারাজীবন কাজ করে গেছেন। তৎকালীন সময়ে আওয়ামীলীগের এমন কোনো নেতাকর্মী নেই যারা আসেনি মাইজদী শহরে সিও সাহেবের বাড়ীতে, আওয়ামীলীগের দুঃসময়ে দলীয় সকল মিটিং, আলোচনা – সভা হতো এই কোহিনুর আক্তার খানমের বাড়ীতে । আজকের বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবাযদুল কাদের সাহেব দলীয় কাজে কতযে আসতেন দাদীর কাছে। নোয়াখালী জেলায় আব্দুল মালেক উকিল সাহেবের পরে আওয়ামীলীগের দুঃসময়ে এই কোহিনুর আক্তার খানমের পরিবারই আওযামীলীগকে আঁকড়ে ধরে রেখে ছিলো। ।
তারা আরো জানান,আমাদের পরিবার স্বাধীনতার স্বপক্ষের পরিবার, এই পরিবার বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গঠিত। আমার দাদা থেকে আমার বাবা এবং আমি ও আমারা ২ভাই আমরা আওয়ামীলীগকে ভালবাসি দল থেকে কিছু পাওয়ার আশায় নয়। আমরা আওয়ামীলীগ করে আসছি বঙ্গবন্ধুকে এবং তাঁর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ভালোবেসে। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি এখন আমার বাবাকে উপযুক্ত মনে করেন, আর ত্যাগী কাউকে নোয়খালী-৪ আসনের জন্য প্রয়োজন, তাহলে আমরাই এইবার দলীয় প্রতীক নৌকার মনোনয়নের হকদার।