জেলা প্রশাসন ও উপকূলীয় বন বিভাগ, নোয়াখালী কর্তৃক আয়োজিত ১৫ (পনের) দিনব্যাপী বৃক্ষমেলায় বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ১৪ হাজার চারা বিক্রি করে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা আয় করেছে নার্সারি মালিকগণ। এই মেলায় ০৭ টি স্টলে দেশী বিদেশি ফলদ, বনজ ও ভেষজ চারা ক্রেতাদের বেশ আকর্ষণ সৃষ্টি করে। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জমজমাট ছিল বৃক্ষমেলা।
বৃহস্পতিবার ( ৩ আগস্ট) সকালে মেলার সমাপনী দিনে ৩টি নার্সারীকে শ্রেষ্ঠত্বের পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। ফারুক নার্সারি (দত্তের হাট) প্রথম, গুরু দয়াল নার্সারি, দ্বিতীয় এবং সালমা নার্সারি তৃতীয় পুরস্কার লাভ করেন।
উপকূলীয় বন বিভাগ, নোয়াখালীর সম্মানিত বিভাগীয় বন কর্মকর্তা, মোঃ ফরিদ মিঞার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক, দেওয়ান মাহবুবুর রহমান। তিনি বলেন, বৃক্ষমেলা আজ শিল্পে পরিণত হয়েছে। বৃক্ষের প্রতি ভালোবাসা জন্মেছে। নিজেদের প্রয়োজনে বৃক্ষ রোপন ও রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে।
নোয়াখালী জেলা ঈদগাহ মাঠে জেলা প্রশাসন, নোয়াখালী ও উপকূলীয় বন, নোয়াখালীর আয়োজনে মেলার সমাপনীতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, পুলিশ সুপার, মো: শহীদুল ইসলাম, পিপিএম, নার্সারী মালিকদের পক্ষে বক্তব্য দেন জনাব গিয়াস উদ্দিন, ফারুক নার্সারী, দত্তেরহাট।
সমাপনী অনুষ্ঠানে মাইজদী এসএফএনটিসির ২০ জন উপকারভোগী মাঝে লভ্যাংশের চেক বিতরণ করা হয়। সেখানে মাইজদী এসএফএনটিসির ২০ জন উপকারভোগী প্রত্যেকে ৩১,২৯৮ টাকার চেক গ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে উপকূলীয় বন বিভাগ, নোয়াখালীর সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) কাজী তারিকুর রহমান, স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন, সার্বিক দায়িত্বে ছিলেন, সদর রেঞ্জ অফিসার এএসএম মহি উদ্দিন চৌধুরী, অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন ইব্রাহীম খলিল, বন্যপ্রাণী ও জীব বৈচিত্র সংরক্ষন কর্মকর্তা, বিভিন্ন রেঞ্জ থেকে আগত রেঞ্জ অফিসার ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ প্রিন্ট ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।