রবিবার (১৪ জুলাই) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার কার্যালয়ের শাপলা হলে মাস্টার্স ও পিএইচডি করার জন্য চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত কর্মকর্তাদের এ ফেলোশিপ দেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপের জন্য চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত কর্মকর্তাদের হাতে সনদপত্র তুলে দেন। অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া ও জিআইইউর মহাপরিচালক অধ্যাপক মো. আবদুল লতিফ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, বিশ্বের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য বিভিন্ন খাতের ৪৮ জন স্কলার প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ (পিএমএফ) ২০২৩-২৪ পেয়েছেন। তাদের মধ্যে ৩৮ জন মাস্টার্স ফেলো এবং ১০ জন পিএইচডি ফেলো যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডাসহ বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় উচ্চশিক্ষার জন্য বৃত্তি পেয়েছেন।
সিভিল সার্ভিস, শিক্ষাবিদ এবং দেশের যোগ্য নাগরিকদের জ্ঞান ও সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ চালু করা হয়। বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য এখন পর্যন্ত ২৭৭ জন মাস্টার্স এবং ১০৮ জন পিএইচডি ফেলোকে এই বৃত্তি দেওয়া হয়েছে।
বৃত্তি পেতে হলে প্রত্যেক আবেদনকারীকে আগে নিজ যোগ্যতায় বিশ্বের ১০০ র্যাঙ্কিংয়ের মধ্যে থাকা যেকোনো একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি নিশ্চিত করতে হয়। ভর্তি নিশ্চিত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গভর্ন্যান্স ইনোভেশন ইউনিটের (জিআইইউ) আওতায় এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে হয়। জিআইইউকে পিএমএফ ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
সরকারি কর্মকর্তা বিসিএস ও বিসিএস নয় এবং বেসরকারি প্রার্থী- এই তিন ভাগে বৃত্তি দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর বৃত্তি পাওয়া এসব ফেলো যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডাসহ বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন।
প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ পাওয়া নোয়াখালী সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নিজাম উদ্দিন আহমেদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “আমি সবার কাছে দোয়া চাই। উচ্চশিক্ষার গ্রহণের পর দেশে ফিরে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার কাজে শেখ হাসিনার নির্দেশনা বাস্তবায়নে অতীতের ন্যায় সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজে করে যাবো।”