বাংলাদেশি যুবকের প্রেমের টানে সুদূর ল্যাটিন আমেরিকার দেশ পেরু থেকে নোয়াখালীতে এসেছেন আনা কেলি কারাঞ্জা সাওসিডো নামে এক তরুণী। এমনকি ভালোবাসার মানুষ আরমান বিয়েও করেছেন তিনি।
মো. আরমান হোসেন নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার ঘাটলাবাগ এলাকার বারাই বাড়ির নুর আলমের ছেলে। বৃহস্পতিবার কারাঞ্জা সাওসিডোরকে চাটখিলে নিয়ে আসেন আরমান। ভিনদেশি এই নববধূকে দেখতে আরমানের বাড়িতে ভিড় করছে আশপাশের মানুষ।
জানা যায়, ২০১৭ সালে ফেসবুকে আরমানের সঙ্গে পরিচয় হয় পেরুর তরুণী কারাঞ্জা সাওসিডোর। পরিচয় থেকে বন্ধুত্ব গড়ায় ভালোবাসার সম্পর্কে। ৬ বছরের ভালোবাসা পূর্ণ হয় বিয়ের মাধ্যমে। গত ২ জুলাই পেরু থেকে বাংলাদেশে আসেন কারাঞ্জা সাওসিডোর। ঢাকায় বিমানবন্দরে তাকে রিসিভ করেন আরমান। ঐদিনই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন দুজন। কিছুদিন ঢাকায় থাকার পর বৃহস্পতিবার কারাঞ্জা সাওসিডোরকে চাটখিলে নিয়ে যান আরমান। বর্তমানে তারা নিজ বাড়িতেই বসবাস করছেন। ভিনদেশি পুত্রবধূ পেয়ে খুশি আরমানের পরিবারও।
আরমান হোসেন বলেন, আনা কেলি কারাঞ্জা সাওসিডোর সঙ্গে আমার মোবাইলে পরিচয় এবং বন্ধুত্ব হয়। ৬ বছর আমাদের মোবাইলেই কথা হয়েছে। তাকে কখনো সরাসরি দেখার সুযোগ হয়নি। দুজনে মিলে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেই। সে অনুযায়ী কারাঞ্জা সাওসিডো বাংলাদেশে এলে আমরা বিয়ে করি। নতুন জীবনের জন্য সবার কাছে দোয়া চাই।
কারাঞ্জা সাওসিডোর ইংরেজিতে বলেন, আমাদের ভালবাসার সম্পর্ককে টিকিয়ে রাখতে আমি নিজ ইচ্ছায় আরমানের কাছে ছুটে এসেছি। সবার কাছে দোয়া চাই, আমরা যেন সুখী হতে পারি।