জেলা প্রতিনিধি
মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক রাজনীতির ‘রহস্যপুরুষ’ সিরাজুল আলম খানের এর দাফন হবে তার জন্মভূমি নোয়াখালীতে। তার ব্যক্তিগত সহকারী ও জেএসডির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মোশারফ হোসেন মন্টু এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সিরাজুল আলম খানের শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী তার নিজ গ্রাম নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের আলীপুরে মায়ের কবরের পাশে সমাহিত করা হবে। এখনো দাফনের সময় নির্ধারণ করা হয়নি। কিছুক্ষণ পর পরিবারের সদস্যরা সময়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবেন। আজ তার মরদেহ শমরিতা হাসপাতালের মর্গে রাখা হবে। আগামীকাল শনিবার (১০ জুন) দুপুরের পর তার মরদেহ নোয়াখালী আনা হবে।
মন্টু আরও জানান, সিরাজুল আলম খান তার শেষ ইচ্ছের কথা সবাইকে আগে থেকেই জানিয়ে রেখেছেন। তিনি বলেছিলেন, ‘আমার মৃত্যুর পর কোনো শোকসভা হবে না। শহীদ মিনারে ডিসপ্লে হবে না লাশ। যত দ্রুত সম্ভব নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে আমার গ্রামের বাড়িতে পাঠাতে হবে মরদেহ, যা ঢাকা থাকবে একটা কাঠের কফিনে।’
উল্লেখ্য, সিরাজুল আলম খান উচ্চ রক্তচাপসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। গত ৭ মে রাত সাড়ে ১০ টায় শ্বাসকষ্টজনিত অসুস্থতার কারণে ঢাকার পান্থপথে শমরিতা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় সিরাজুল আলম খানকে। পরে চিকিৎসকদের পরামর্শে গত ২০ মে (শনিবার) তাকে ঢামেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও সশস্ত্র যুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ এই সংগঠককে গত বৃহস্পতিবার (৮ জুন) ঢামেক হাসপাতালের আইসিইউতে নেওয়া হয়। ওইদিন রাতেই নেওয়া হয় লাইফ সাপোর্ট।
শুক্রবার (৯ জুন) দুপুর ২টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন রাজনীতির এই ‘রহস্যপুরুষ’।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে সিরাজুল আলম খানকে ‘রহস্যপুরুষ’ আখ্যা দেওয়া হয়। ‘দাদাভাই’ নামেও তিনি রাজনৈতিক অঙ্গনে পরিচিত।