জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে অনুষ্ঠান করতে বাধা, নির্ধারিত বাসভবন থাকার পরেও বাড়ি ভাড়া বাবদ টাকা উত্তোলন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বরাদ্দকৃত গাড়ির যথেচ্ছা ব্যবহার, স্বজনপ্রীতি, অনিয়ম ও লাগামহীন দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) এর উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. দিদার উল আলমের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এমনকি একই ঘটনায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
জানা যায়, নোবিপ্রবির পঞ্চম উপাচার্য হিসেবে গত ১২ জুন ২০১৯ সালের বুধবার দায়িত্ব পান অভিযুক্ত ড. মো. দিদার উল আলম। এরপর থেকে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন এই উপাচার্য। যা অদ্যাবধি চলমান রয়েছে বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা যায়, ২০২২ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি নোবিপ্রবির আইকিউএসি ‘বাংলা ভাষার মর্যাদা ও বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক অনলাইন সেমিনার আয়োজনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেন। উপাচার্য অধ্যাপক ড. দিদার উল আলম প্রাথমিকভাবে উক্ত অনুষ্ঠান আয়োজনে সম্মতি প্রকাশ করলেও পরবর্তীতে কোনো কারণ উল্লেখ না করেই উক্ত সেমিনার স্থগিত করেন। যা নিয়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হলেও তাতে তিনি কর্ণপাত করেননি।
বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠান স্থগিত হওয়ার বিষয়ে উপাচার্যের দায় সম্পর্কে জানতে চাইলে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজক ও নোবিপ্রবির অধ্যাপক মোহাম্মদ আনোয়ারুল বাশার বিবার্তাকে বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পর সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিনসহ জাতীয় নেতাও হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। আর খন্দকার মোশতাকরা প্রেসিডেন্ট হয়েছে। আমরা বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসি, ভালোবাসি জাতীয় নেতাকে। কিন্তু ক্ষমতাসীনদের অনেকের পছন্দ মোশতাকদের মতো নেতা। তাই আমরা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে অনুষ্ঠান করতে চেয়ে অপরাধী আর যারা বাধা দেয় তারা পুরস্কৃত হয়।
তথ্য বিশ্লেষণে জানা যায়, নোবিপ্রবি ক্যাম্পাসে নির্ধারিত বাসভবন থাকার পরও বাড়ি ভাড়া বাবদ প্রতি মাসে বিপুল টাকা তুলছেন উপাচার্য অধ্যাপক দিদার-উল-আলম। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) নিরীক্ষা দলের কাছে এ অনিয়ম ধরা পড়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে এ পর্যন্ত তুলে নেওয়া টাকা ফেরত দিতে উপাচার্যকে নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। ২০২১ সালের ১৮ জুলাই উপাচার্যকে চিঠি দিয়ে টাকা পরিশোধের নির্দেশ দেয়া হয়। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঢাকার গেস্ট হাউজে দীর্ঘদিন ব্যবহার করা পাজেরো জিপ গাড়িটি ক্যাম্পাসে নিয়ে যেতে বলা হয়েছে তাকে।
ইউজিসির সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. ফেরদৌস জামান স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, কমিশনের বাজেট নিরীক্ষা দল ২০২১ সালের ১৫-১৬ নভেম্বর নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনে যায়। দলটি ২০২০-২১ অর্থবছরের সংশোধিত এবং ২০২০-২১ অর্থবছরের মূল বাজেট পরীক্ষার সময় উপাচার্যের বাংলো থাকা সত্ত্বেও বাড়ি ভাড়া ভাতা দেওয়া হচ্ছে বলে দেখা যায়, যা আর্থিক শৃঙ্খলা পরিপন্থি।
চিঠিতে আরও বলা হয়, ২০১২ সালে কেনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাজেরো গাড়ি অতীতের ধারাবাহিকতায় ঢাকায় গেস্ট হাউসে ব্যবহৃত হচ্ছে, যা বিধিবহির্ভূত।
২০২১ সালের ৫ মে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব নূরে আলমের সই করা এক চিঠিতে নোবিপ্রবিতে সংঘটিত বেশ কিছু আর্থিক অনিয়মের উদাহরণ দিয়ে তা বন্ধের কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপাচার্যকে বলা হয়। কিন্তু উপাচার্য ব্যবস্থা নেননি। চিঠিতে বলা হয়, উপাচার্য তার ইচ্ছেমতো মোবাইল বিল পরিশোধ করেন, ন্যূনতম যোগ্যতা না মেনে বিভিন্ন পদে নিয়োগ দেন, এতে পিএইচডিসহ অনেক উচ্চতর ডিগ্রিধারী প্রার্থী বঞ্চিত হয়েছেন। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছে জনপ্রিয় থাকতে তিনি সরকারি বিধি অনুযায়ী বাসা ভাড়া না কেটে বর্গফুট হিসেবে ভাড়া কাটেন। এরআগে নোবিপ্রবির সাবেক উপাচার্যের অনিয়ম-দুর্নীতি তদন্ত করতে ইউজিসির একটি দল ২০২১ সালের জানুয়ারিতে নোয়াখালী যায়। তদন্ত করতে গিয়ে বর্তমান উপাচার্যের নানা আর্থিক অনিয়ম ধরা পড়ে। তদন্ত দলের প্রধান ও ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের তখন গণমাধ্যমকে বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
এদিকে অধ্যাপক ড. মো. দিদার উল আলমের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উত্থাপন করে চলতি বছর বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বরাবর চিঠি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা।
চিঠিতে তারা বলেন, বর্তমান উপাচার্য ২০১৯ সালের মে মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগপ্রাপ্ত হওয়ার পর অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য নতুন কোন প্রকল্প নেয়া হয়নি। পূর্বতন ভিসির আমলে শুরু হওয়া ছাত্র হল, কেন্দ্রীয় মসজিদ, পানি শোধনাগারসহ কিছু প্রকল্পের কাজ শেষ করা ব্যতীত বর্তমান উপাচার্য নতুন কোন প্রকল্প শুরু করতে সমর্থ হননি। অধিকন্তু, পরিতাপের বিষয় এই যে, নতুন একটি একাডেমিক বিল্ডিং (বিল্ডিং-৩) এর কাজ ২০১৮ সালে শুরু হলেও শুধুমাত্র প্রশাসনিক অদক্ষতার কারণে ২০২১ সালে প্রকল্পটি বাতিল হয়ে যায়। নোবিপ্রবির বর্তমান প্রশাসন এক্ষেত্রে চরম উদাসীনতা ও অদক্ষতার পরিচয় দেন। কেবলমাত্র ঠিকাদারের উপর সকল দায় চাপিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করতে পারেন না। যার ফলে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অতিগুরুত্বপূর্ণ এ প্রকল্পটি বাতিল ঘোষণা করে।
অভিযোগে তারা আরো বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক ‘জনবল কাঠামো অনুমোদন’ সাপেক্ষে নিয়োগের সুস্পষ্ট নির্দেশনা থাকলে ‘জনবল’ পূর্ণাঙ্গ অনুমোদন না করেই মেয়াদের শেষ পর্যায়ে এসে দুটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ইতোমধ্যে ১৫০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দেয়া হয়েছে। সর্বশেষ নিয়োগে (মার্চ ২০২৩) উপাচার্যের বাবুর্চি আবদুর রহমানের স্ত্রী, শ্যালকসহ শিক্ষকগণের কারও ভাই, কারও বোন, কারও স্ত্রী নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন। জাতীয় সংসদে পাসকৃত আইন অনুসারে যে কোন বিভাগে নতুন শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্লানিং কমিটির অনুমোদনের বিধান থাকলেও উপাচার্য তা সম্পূর্ণ উপেক্ষা করেন। প্লানিং কমিটিকে অন্ধকারে রেখে নিজেদের পছন্দমতো শিক্ষক নিয়োগের জন্য গত মার্চ মাসে নতুন করে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে চতুরতার আশ্রয় নিয়ে সহযোগী অধ্যাপকের স্থলে প্রভাষক পদে অস্থায়ী নিয়োগের সুযোগ রাখা হয়েছে।
নোবিপ্রবি ভিসির বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলা হয়, উপাচার্য পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ দখলে রেখেছেন। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কোন দায়িত্ব পালন না করেই তিনি নির্ধারিত ভাতা গ্রহণ করেন বলে শোনা যায়; এমনি শিক্ষার্থীদের সনদপত্রে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের স্বাক্ষর করার বাধ্যবাধকতা থাকলেও উপাচার্য তা নিজে না করে উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রককে দিয়ে করান।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামীপন্থী মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শিক্ষকরা অভিযোগ করে বলছেন, ২০০৯ পরবর্তী সময়ে চলতি বছরের গত ৩০ মে এই প্রথম নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে বর্তমান ভাইস চ্যান্সেলরের আমলে। এতে স্পষ্ট বুঝা যায় এই ক্যাম্পাসে বর্তমান প্রশাসনে কী অবস্থা বিরাজমান। তাদের অভিযোগ, বর্তমান ভাইস চ্যান্সেলরের আমলে প্রশাসনের ছত্রছায়ায় বিএনপি-জামাত সমর্থিত সাদা দল সংঘটিত হয়ে নানা সাম্প্রদায়িকমূলক কর্মসূচিও করছে। অন্যদিকে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের কর্মসূচিতে বাধা দেয়া হচ্ছে। জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী আয়োজনের ঘটনায় সমালোচনা শুরু হলে নড়েচড়ে বসেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরে ওই মাহফিলে দোয়া পরিচালনার দায়ে গত ১ জুন (বৃহস্পতিবার) পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মো. গিয়াস উদ্দিন ভূঁইয়াকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মো. গিয়াস উদ্দিন ভূঁইয়া কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
তবে এই শোকজ নোটিশ দেওয়া ডেপুটি রেজিস্ট্রার ড. মুহাম্মদ আলমগীর সরকার বিবার্তাকে বলেন, আমি কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত মোতাবেক কাজ করি, করতে হয়। এখানেও তাই হয়েছে। আর চিঠিতে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে লেখা আছে।
এদিকে নোবিপ্রবির উপাচার্য় অধ্যাপক ড. মো. দিদার উল আলমের বিরুদ্ধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে অনুষ্ঠান করতে বাধা দেয়াসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে গত ২ মে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব মো. সাজজাদুল হাসান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে। তাতে বলা হয়, উপর্যুক্ত বিষয়ের সঙ্গে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের কর্মপরিধির সম্পৃক্ততা থাকায় সদয় অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদনের ছায়ালিপি সংযুক্তিসহ নির্দেশক্রমে প্রেরণ করা হলো।
অভিযুক্ত উপাচার্যকে নিয়ে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক শ্যামল কুমার পাল বিবার্তাকে বলেন, ২০২১ সালের অক্টোবরে ডিউ হওয়ার পরে ডিসেম্বরে আমার প্রমোশনের বোর্ড বসেছে। কিন্তু এরপরে এখন ২০২৩ সাল হলেও সকল যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও আমার প্রমোশন দেয়নি। আমি ভিসির কাছে দুইবার গিয়েছি। তারপরেও তিনি কর্ণপাত করেননি। এরমধ্যে আমি তিন দফায় চিঠি দিলেও আমাকে কোন কিছু জানানো হয়নি। ইনফরমেশন ডেস্কেও আমি আবেদন করেছি৷ তারপরেও তারা রিপ্লে দেয় নাই ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক শিক্ষক বিবার্তাকে বলেন, সার্বিক দিক বিবেচনা করে দেখেন এই ক্যাম্পাসে কী হচ্ছে! আমরা যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করি, তাদেরকে কোণঠাসা করার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আমি এমনিতে ঝামেলায় আছি। কাজেই আমার নাম দিলে আরও ঝামেলায় পড়ব।
নোবিপ্রবির এক কর্মকর্তা বিবার্তাকে বলেন, প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নিজস্ব স্বকীয়তা থাকতে হয়। কিন্তু বর্তমান উপাচার্যের নিজস্ব স্বকীয়তা বলতে কিছুই নেই। এই জন্য এই বিশ্ববিদ্যালয়ে এতো সমস্যা। আর ওনার ৪ বছরের কোন উন্নয়নই হয়নি, শুধু অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে। আত্মীয় স্বজনদের চাকরি, শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম শুধু নয়, বঙ্গবন্ধু সম্পর্কিত প্রোগ্রামেও তিনি বাধা দিচ্ছেন। তার আমলে নোবিপ্রবিতে জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। যা এর আগে কখনো হয়নি। শুধু তাই নয়, উনি বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের প্রোগ্রাম ঢিলেঢালাভাবে আয়োজন করেছেন!
নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. দিদার উল আলমকে বিবার্তার থেকে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। এমনকি তার মোবাইল নম্বরে সংবাদের বিষয়বস্তু লিখে ক্ষুদেবার্তা পাঠালেও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।
নোবিপ্রবি উপাচার্যের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে অবগত করে মন্তব্য জানতে চাইলে ইউজিসির সচিব ড. ফেরদৌস জামান বিবার্তাকে বলেন, এই বিষয়ে ডিভিশন থেকে পরবর্তী করণীয় কী সেই সম্পর্কে আমাদের একটা ফাইল দেওয়া হয়েছে। আর যেহেতু ফাইল এসেছে সেহেতু এই বিষয়ে অথরিটি পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিবে।